Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Child Harassment

সাত বছরের শিশুকে নিয়মিত মারধর, হেনস্থা! অবশেষে গ্রেফতার পলাতক নার্স

অভিযুক্ত একটি কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে সিনিয়র নার্সিং অফিসার হিসাবে কর্মরত। তাঁর ছেলেকেও একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহিলা পলাতক ছিলেন। অবশেষে হরিদ্বার থেকে তাঁকে ধরেছে পুলিশ।

Nursing officer arrested for allegedly torturing seven year old child.

সাত বছরের শিশুকে হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার সিনিয়র নার্সিং আধিকারিক। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৮
Share: Save:

সাত বছরের শিশুকে হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক সিনিয়র নার্সিং আধিকারিককে। তিনি সম্পর্কে ওই শিশুর আত্মীয়। অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে হরিদ্বার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি দক্ষিণ দিল্লির আরকে পুরম এলাকার। অভিযুক্তের নাম রেণু কুমারী, বয়স ৫০ বছর। একটি কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে তিনি সিনিয়র নার্সিং অফিসার হিসাবে কর্মরত। তাঁর ছেলে জনি পটেলকে একই অভিযোগে আগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযোগ, মা এবং ছেলে মিলে শিশুটির উপর নির্যাতন করতেন। শিশুটির দেহে পোড়া ক্ষতও পাওয়া গিয়েছে। তার সারা শরীরে নানা ক্ষতচিহ্ন দেখতে পেয়েছে পুলিশ। শিশুটির বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। শিশুটি একটি সরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া। তার শিক্ষিকা তাকে প্রশ্ন করে আত্মীয়দের অত্যাচারের কথা জানতে পারেন। তিনিই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু দেখা যায়, অভিযুক্ত মহিলা দিল্লি থেকে চলে গিয়েছেন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। একই দিনে গ্রেফতার হন আর এক অভিযুক্ত।

শিশুটির চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে পুলিশ। বর্তমানে তাকে শিশুসুরক্ষা হোমে রাখা হয়েছে। ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং শিশু সুরক্ষা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। কেন শিশুটিকে নির্মম ভাবে মারধর করা হত, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সে বিষয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nurse Child Abuse Delhi Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE