Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Justice NV Ramana

লড়াই করোনার বিরুদ্ধে, বার্তা প্রধান বিচারপতির

বিচারপতি এনভি রমণা

বিচারপতি এনভি রমণা

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৫০
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টের ৪৮তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি এনভি রমণা। কোভিড বিধি মেনে আজ সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিধি অনুযায়ী তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শপথের পরে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘এই সময়ে করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের পরীক্ষা। আইনজীবী, বিচারক এবং আদালত কর্মীরা এই ভাইরাসের শিকার হয়েছেন। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার জন্য আমাদের কিছু কড়া ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করে আমরা অতিমারিকে হারাতে পারব।’’

২২ বছরের কর্মজীবনে ইতি টেনে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে শুক্রবারই অবসর গ্রহণ করেছেন বিচারপতি এস এ বোবডে। আজ রাষ্ট্রপতি ভাবনে তাঁকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গত মার্চেই বিচারপতি বোবডে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে বিচারপতি এন ভি রমণার নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সেই প্রস্তাবনা অনুযায়ী গত ৬ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ পরবর্তী বিচারপতি পদে তাঁকে নিয়োগ করেন। আগামী ১৬ মাস, অর্থাৎ ২০২২ সালের ২৬ অগস্ট পর্যন্ত এই পদে থাকবেন
বিচারপতি রমণা।

১৯৫৭ সালের ২৭ অগস্ট অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার পুন্নাভরম গ্রামে জন্ম বিচারপতি রমণার। সাধারণ এক কৃষক পরিবারে জন্ম। তাঁর পরিবারে তিনিই প্রথম বিচার বিভাগীয় দফতরে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসেবে প্রথম নাম নথিভুক্ত হয় তাঁর। ২০০০ সালের ২৭ জুন অন্ধ্রপ্রদেশ হাই
কোর্টে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৩ সালের ১০ মার্চ থেকে ২০ মে পর্যন্ত সেখানেই প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলান। সেই বছর ২ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন বিচারপতি রমণা। পরের বছরেই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে
যোগ দেন।

সাম্প্রতিক কালের একাধিক যুগা‌ন্তকারী রায়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্পষ্টবক্তা এবং মিতভাষী বিচারপতি রমণার নাম। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে ইন্টারনেট পরিষেবার উপরে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল, বিচারপতি রমণার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের নির্দেশেই তা শেষ পর্যন্ত উঠে যায়। তাঁর নির্দেশেই উপত্যকায় ফের চালু হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। সুপ্রিম কোর্টের কাজকর্মকেও ‘তথ্যের অধিকার আইনে’ প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে ২০১৯ সালের নভেম্বরে শীর্ষ আদালত বলে, জনসমক্ষে তথ্য প্রকাশ করার পাশাপাশি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরি। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের যে সাংবিধানিক বেঞ্চ অরুণাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরকার পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল, বিচারপতি রমণা ছিলেন সেই বেঞ্চের সদস্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE