দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন কর্মসূচি নিয়ে এ বার খোঁজখবর শুরু করল ওড়িশার বিজেপি সরকার। গত বুধবার অক্ষয়তৃতীয়ার দিন বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েতদের (দয়িতাপতি) মধ্যে কারা উপস্থিত ছিলেন এবং কোন কাঠ দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে, তা জানতে ওড়িশা সরকার সক্রিয় হয়েছে।
শনিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছে, ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ কুমার পাধীকে চিঠি লিখে এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত বুধবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অন্যতম প্রধান সেবায়েত রাজেশ দয়িতাপতির নেতৃত্বে পুরোহিতেরা দিঘার মন্দিরের বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন। অন্য দিকে, পুরীর জগন্নাথ বিগ্রহ নির্মাণে ব্যবহৃত নিমকাঠের উদ্বৃত্ত দিয়ে দিঘার জগন্নাথ বিগ্রহ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জল্পনা।
আরও পড়ুন:
গত বুধবার সকাল ১১টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে নিমকাঠের তৈরি জগন্নাথের মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়েছিল। ওই ২০ মিনিটের মধ্যে রুদ্ধ দরজার ভিতরে রাজেশ দয়িতাপতির নেতৃত্বে পুরোহিতেরা প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। দেবতার সর্বাঙ্গে কুশ স্পর্শ করানো হয়। এর পর বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই মন্দিরে পাথরের জগন্নাথ বিগ্রহেও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসকনের সেবায়েতরা। ওড়িশা সরকার আগেই দিঘার মন্দিরের ‘জগন্নাথধাম’ নামকরণ নিয়ে আপত্তি তুলেছে।