ওড়িশার রাজ্যপাল রঘুবর দাসের ছেলে ললিতকুমার দাসের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রঘুবরের পুত্রের বিরুদ্ধে পুরী সৈকত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বৈকুণ্ঠ প্রধান নামে রাজভবনের ওই কর্মী।
ঘটনা গত ৭ জুলাই রাতের। সেই সময়ে ওড়িশা সফরে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার হিসেবে ওড়িশার রাজভবনে কর্মরত বৈকুণ্ঠ রাজ্যপালের মুখ্যসচিবকে লেখা অভিযোগে জানিয়েছেন, ৭ তারিখ রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ললিতের ব্যক্তিগত রাঁধুনি তাঁকে এসে বলেন যে, ললিত তাঁকে ডাকছেন। এর পরে তিনি ললিতের ঘরে গেলে সেখানে রাজ্যপাল-পুত্র তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। চড়, লাথি, ঘুসি কিছুই বাদ যায়নি। বৈকুণ্ঠের দাবি, তিনি কোনও মতে সেই ঘর থেকে বেরোনোর চেষ্টা করলে ললিতের কয়েক জন সহযোগী তাঁকে জোর করে আটকে রাখেন। বৈকুণ্ঠ জানিয়েছেন, প্রায় ভোর পৌনে ৪টে অবধি চলে মারধর। ললিত তাঁকে সেই সময়ে হুমকি দিয়ে এ-ও বলেন যে, তাঁকে রাজভবনে খুন করা হলেও তা কেউ টের পাবে না। ললিতের ওই ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন বৈকুণ্ঠ।
বৈকুণ্ঠের স্ত্রী সয়োজ প্রধানের দাবি, স্টেশন থেকে রাজভবনে ফেরার জন্য গত ৭ জুলাই একটি বিলাসবহুল গাড়ি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন ললিত। কিন্তু সেই সময়ে রাষ্ট্রপতি পুরী শহরে উপস্থিত থাকায় ললিতের দাবিমতো গাড়ি জোগাড় করে দিতে পারেননি তাঁর স্বামী। বিলাসবহুল গাড়ির বদলে একটি সাধারণ গাড়ি পাঠানো হয়েছিল স্টেশন থেকে ললিতকে আনার জন্য। সেই আক্রোশ থেকেই ওই দিন রাতে নিজের ঘরে বৈকুণ্ঠকে ডেকে পাঠিয়ে ললিত মারধর করেন বলে অভিযোগ করেছেন সয়োজ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)