ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে এক যুবকের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ছড়াল অসমে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জওয়ানেরা টহল দেওয়ার সময় ওই যুবককে মারধর করেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএসএফ। বাহিনীর দাবি, যুবককে মত্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে তারা।
অসমের কাছাড় জেলার কাটিগোড়ায় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় দু’দিন আগে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় নির্মল রায়ের। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, মাঝরাতে সীমান্তে টহল দেওয়ার দেওয়ার সময় বিএসএফের জওয়ানেরা নির্মলকে আটকান। এর পরে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। আহত অবস্থায় ওই যুবককে স্থানীয় এক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিলচরে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় নির্মলের।
ওই ঘটনার পরে কাটিগোড়া সার্কেল অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি তুলতে থাকেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। বিএসএফ এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে বলপ্রয়োগ করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এই ঘটনার নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতেও সরব হন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন:
যদিও গ্রামবাসীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দাবি, টহল দেওয়ার সময় নির্মলকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন জওয়ানেরা। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই’কে বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, ওই যুবক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। যুবককে পড়ে থাকতে দেখে জওয়ানেরাই তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই বক্তব্য মানতে নারাজ বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।