খলিস্তানপন্থী নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার চেষ্টার মামলায় ভারতের প্রাক্তন সরকারি কর্তা বিকাশ যাদবের নামে আমেরিকান আদালতে চার্জ গঠনের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব তৃণমূল। এই ঘটনায় সত্যিই ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর ভূমিকা আছে কি না, তা নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। প্রশ্ন তুলেছেন আর এক তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। এক কংগ্রেস নেতাও আজ দাবি করেছেন, সংসদকে বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হোক। যা দেখে কিছু বিস্ময় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বিদেশ নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে সাধারণত কোনও বিরোধী দলই প্রকাশ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে না। তেমনটাই রীতি। এ অবস্থায় তৃণমূলের দাবিদাওয়া শুনে কিছুটা বিস্ময় তৈরি হয়েছে। সাগরিকা তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘নামটা প্রকাশ্যে এল। আমেরিকা জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ‘র’-এর প্রাক্তন কর্তা বিকাশ যাদব। তাঁর বিরুদ্ধে সুপারি কিলার নিয়োগ করে খুন করানোর চেষ্টার অভিযোগ। প্রশ্ন হচ্ছে, বিকাশ কি ফেঁসে গিয়েছে? ওঁর পিছনে কে রয়েছে? মোদী সরকারের উচিত এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে সংসদকে জানানো।’’ মহুয়াও বলেছেন, ‘‘আইনের তোয়াক্কা না করে আমেরিকায় খুনের অভিযোগ উঠছে ‘র’-কর্তার বিরুদ্ধে। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে এ সব কী অভিযোগ উঠছে?’’
কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘‘ভারতের গুপ্তচর সংস্থার যে কাঠামো, তার উপর নজরদারির সময় এসেছে। সেই নজরদারি চালানো হোক সংসদীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে। গোটা বিশ্বে, প্রত্যেক গণতন্ত্রে প্রতিটি গুপ্তচর সংস্থার একটি যথাযথ আইনি গঠন রয়েছে এবং তা সংসদের নজরদারিতে থাকে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১১ সালে গুপ্তচর সংস্থার উপর নজর রাখা নিয়ে প্রাইভেট মেম্বার’স বিলের প্রস্তাব উঠেছিল। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)