প্রতীকী ছবি।
শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে হাইস্কুল এবং ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা। কিন্তু প্রথম দিনেই প্রকাশ্যে এল এক এমন তথ্য, যা নিয়ে সমাজমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বোর্ড পরীক্ষায় আগের তুলনায় কড়াকড়ি বেড়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে নজরদারিও। এত কিছুর কারণেই নাকি তিন লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতেই আসেননি!
উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। প্রথম দিনে বোর্ড পরীক্ষায় কত জন পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন, কত জন অনুপস্থিত ছিলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষকের সংখ্যা কত ছিল— যাবতীয় তথ্যের উল্লেখ রয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, প্রথম দিন দু’দফা মিলিয়ে মোট তিন লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪১ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
অতীতে টোকাটুকি করা, নকল পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে যাওয়া ইত্যাদি নানান অভিযোগ উঠত উত্তরপ্রদেশে। এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ‘বই খুলে’ পরীক্ষা দেওয়াই রীতি। এমনকি পরীক্ষকই নাকি নকল করতে ‘সাহায্য’ করেন, এমন অভিযোগও প্রকাশ্যে এসেছে। সেই সব অভিযোগের কারণেই গত কয়েক বছর ধরে বোর্ড পরীক্ষায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কোনও নকল পরীক্ষার্থী যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে তার জন্য আইডি কার্ডে বার কোড বসিয়েছে ইউপি বোর্ড। সংবেদনশীল পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পুলিশ মোতায়েনও করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে স্ট্রং রুমও। সেখান থেকেই অনলাইনে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে নজরদারি চালাবেন বোর্ড কর্তারা। সেই সঙ্গে প্রশ্নফাঁস আটকাতেও একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
কেন এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসেননি, তা খতিয়ে দেখছে বোর্ড। ইউপি বোর্ডের এক কর্তার কথায়, ‘‘অতীতে এমন ঘটনা ঘটেনি। মনে হচ্ছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে নজরদারি বৃদ্ধি করার কারণেই পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছুক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এত বাড়ল। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও বোর্ড দেখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy