চিদম্বরমের কাছেই সাহায্য চাইতে হলো কেজরীবালকে।
অতীতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে বারবার দুর্নীতিগ্রস্ত বলে বিঁধেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এ বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা লড়ার জন্য সেই চিদম্বরমের কাছেই সাহায্য চাইতে হলো কেজরীবালকে।
দিল্লির প্রশাসনিক প্রধান কে, তা নিয়ে জোর তরজা বেধেছিল কেন্দ্রের সঙ্গে দিল্লি সরকারের। দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকা আম আদমি পার্টির অভিযোগ, প্রশাসনিক দিক থেকে দিল্লি পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পায় না। কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে ওই রাজ্যে উপস্থিত উপ-রাজ্যপালের উপরেই আইনশৃঙ্খলার জন্য নির্ভর করতে হয় তাদের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের হয়ে উপ-রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা সব সময় থেকে যায়। আর সেখানেই বাধে সংঘাত। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আপ দাবি তুলে এসেছে, দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আসন ভরাতে সক্রিয় হবে রাজ্যই: পার্থ
দিল্লির প্রশাসনিক প্রধান কে, তা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে ওই রাজ্যের চূড়ান্ত বিতর্কের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট গত বছর জানিয়ে দিয়েছিল যে, দিল্লিতে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ক্ষমতা রয়েছে উপ-রাজ্যপালেরই। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় দিল্লি সরকার। পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, যে ৯ জন আইনজীবী মামলাটি লড়ছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরম।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক শিবিরে। চিদম্বরম নিজে সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি না, সংবিধান উপ-রাজ্যপালকে কোনও রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলে ঘোষণা করতে পারে। এর মানে যে দিল্লির ন্যাশনাল কাউন্সিল টেরিটরির সরকারের কোনও ভূমিকা নেই, এটাও ধরে নেওয়া ভুল।’’ একই সঙ্গে দিল্লি সরকারের হয়ে যে বাকি ৮ জন আইনজীবীর সঙ্গে তিনিও লড়ছেন, এ কথা নিজেই স্বীকার করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy