পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার জবাবে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনা। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীনই জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভেঙে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার তরফে এক্স হ্যান্ডলে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের এই হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরে তিন জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় সেনা জানিয়েছে পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকার ভিম্বের গলিতে কামান থেকে গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনা তার জবাব দেওয়া শুরু করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বায়ুসেনার সমস্ত ইউনিটকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের তরফে কোনও রকম হামলা চালানো হলে যেন তার জবাব দেওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর বার বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভেঙেছে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে তারা। তখনও চুপ থাকেনি ভারতীয় সেনা। এ বারও তার জবাব দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছে ভারতীয় বাহিনী। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার জবাব পাকিস্তানকে ভারত নিজের পছন্দের সময়ে এবং পছন্দের স্থানে দেবে বলে নয়াদিল্লির তরফে আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার মধ্যরাত পেরিয়ে যাওয়ার পরে সেই আঘাত হানা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডলে ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বহাওয়ালপুরে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভারত আঘাত হেনেছে বলে কয়েকটি সমাজমাধ্যম পোস্টে দাবি করা হয়েছে। তবে মধ্যরাতে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশ করা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে কোনও শহরের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে যে, পাকিস্তানে এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে বলে মন্ত্রক বিবৃতিতে দাবি করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “আমাদের পদক্ষেপ সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং অপ্ররোচনামূলক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং আঘাত হানার প্রশ্নে ভারত উল্লেখযোগ্য সংযম দেখিয়েছে।”