Advertisement
০৫ মে ২০২৪
National News

বিস্ফোরণ পঙ্কজা মুন্ডের, টুইটারে পরিচয় থেকে সরালেন বিজেপির নাম, মহারাষ্ট্রে জোর গুঞ্জন

মহারাষ্টের বিজেপি-শিবসেনা জোট ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই কার্যত বেসুরো গোপীনাথ মুন্ডের কন্যা।

টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘বিজেপি’ শব্দ সরালেন পঙ্কজা মুন্ডে। ছবি: পঙ্কজার টুইটার হ্যান্ডল থেকে

টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘বিজেপি’ শব্দ সরালেন পঙ্কজা মুন্ডে। ছবি: পঙ্কজার টুইটার হ্যান্ডল থেকে

সংবাদ সংস্থা
ঔরঙ্গবাদ শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৪৫
Share: Save:

ফেসবুক পোস্টের পর এ বার পঙ্কজা মুন্ডের টুইট ঘিরে তীব্র জল্পনা। টুইটার অ্যাকাউন্টের বায়োগ্রাফি থেকে ‘বিজেপি’ শব্দটি মুছেই ফেললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডের মেয়ে। আর তার পরেই রাজনৈতিক শিবিরে জোর গুঞ্জন— তবে কি বিজেপি ছাড়তে চলেছেন পঙ্কজা? জল্পনা উড়িয়ে দেয়নি শিবসেনা। যদিও মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল পঙ্কজার দলত্যাগ এবং শিবসেনায় যোগ দেওয়া— দুই সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিয়েছেন।

রবিবার তাঁর ফেসবুক পোস্টে ‘পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি’, ‘এর পর কী’, ‘কোন পথ নেওয়া উচিত’ এবং তার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে উদ্ধব ঠাকরেকে অভিনন্দন জানানো ঘিরে জল্পনা ছিলই। ওই পোস্টেই পঙ্কজা জানিয়েছিলেন, ১২ ডিসেম্বর মুখ খুলবেন। আর সোমবার টুইটারে নামের পাশ থেকে ‘বিজেপি’ শব্দই পুরো মুছে দিয়েছেন। এখন তাঁর প্রোফাইলে শুধু রয়েছে, ‘আরটি-স আর নট এনডোর্সমেন্ট’। স্বাভাবিক ভাবেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এখন ওই ১২ ডিসেম্বর ঘিরে চরম কৌতূহল, জল্পনা, গুঞ্জন।

মহারাষ্টের বিজেপি-শিবসেনা জোট ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই কার্যত বেসুরো গোপীনাথ মুন্ডের কন্যা। উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে টুইটারে তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তায় লিখেছিলেন, বালাসাহেব ঠাকরের স্বপ্ন এবং মরাঠি মানুষজনের প্রত্যাশা পূরণে ঈশ্বর আপনার সহায় হোন। মরাঠি ভাষায় লেখা ওই টুইটে উদ্ধব ঠাকরে, তাঁর ছেলে আদিত্য এবং শিবসেনাকে ট্যাগ করেছিলেন। তার পর থেকেই জল্পনা ভাসছিল।

আরও পডু়ন: কেন্দ্রের ৪০ হাজার কোটি টাকা বাঁচাতেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ফডণবীস! বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের

তবে সেই জল্পনা কিছুটা থিতু হতেই রবিবার পঙ্কজার ‘বিস্ফোরক’ পোস্ট। ১২ ডিসেম্বর গোপীনাথ মুন্ডের জন্মবার্ষিকী। ওই দিন গোপীনাথনগরে তাঁর অনুগামী সমর্থকদের হাজির থাকার আহ্বান জানিয়ে পঙ্কজা ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘‘রাজ্যে বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিজের সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য আমি ৮-১০ দিন সময় চাই। বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যৎ যাত্রার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’ মরাঠি ভাষায় লেখা ওই পোস্টে পঙ্কজা আরও লেখেন, ‘‘এর পর কী? কোন পথে যাব? জনগণকে আমরা কী দিতে পারি? আমাদের শক্তি কী? সাধারণ মানুষের চাহিদাই বা কী? ১২ ডিসেম্বর এই সব বিষয় নিয়েই আপনাদের সামনে আসব।’’

পঙ্কজাকে ঘিরে গুঞ্জন, তিনি শিবসেনায় যোগ দিতে পারেন। ফেসবুক পোস্ট এবং টুইটার হ্যান্ডলে এমন পরিবর্তনে পঙ্কজার বিজেপি ছাড়ার জল্পনা যেমন জোরদার হয়েছে, তেমনই উদ্ধবকে শুভেচ্ছাবার্তায় ছড়িয়েছে পঙ্কজার শিবসেনায় যোগ দেওয়ার জল্পনা। শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, ‘‘অনেক নেতা-নেত্রীই যোগাযোগ রাখছেন। পঙ্কজা মুন্ডের ক্ষেত্রে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে তাঁর ঘোষণা পর্যন্ত।’’

আরও পড়ুন: পিটিয়ে মারা উচিত, তেলঙ্গানা নিয়ে আইন হাতে তোলার সওয়াল জয়া বচ্চনের, সংসদে দাঁড়িয়েই

তবে মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল বলেছেন, পঙ্কজার সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের যোগাযোগ রয়েছে। হারের পর উনি আত্মসমীক্ষা করছেন। তার অর্থ এই নয় যে তিনি দল ছাড়ছেন। ওঁর সঙ্গে ঠাকরে পরিবারের ভাল সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি শিবসেনায় যোগ দিচ্ছেন।’’ বিজেপি সাংসদ পুনম মহাজন বলেন, ‘‘পঙ্কজা মুন্ডের ফেসবুক পোস্ট দেখেছি। ওই পোস্টে এমন কিছু নেই যাতে মনে হতে পারে তিনি বিজেপির প্রতি কোনও রকম অখুশি। (ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে) উনি বিজেপির সব কোর কমিটির বৈঠকে ছিলেন। উনি গোপীনাথ মুন্ডের মেয়ে, রাজ্যে বিজেপির প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণে যাঁর ভূমিকা অসামান্য।’’

২০১৪ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটে পার্লি কেন্দ্র থেকে জিতে দেবেন্দ্র ফডণবীসের সরকারে রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু এ বারের ভোটে ওই কেন্দ্র থেকেই এনসিপির প্রার্থী তথা তাঁরই তুতো ভাই ধনঞ্জয় মুন্ডের কাছে হেরে যান পঙ্কজা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pankaja Munde BJP Shiv Sena
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE