সমাবেশ থেকে পালাচ্ছেন পরমানন্দ। ছবি: পীতাম্বর নেয়ার।
অসম সাহিত্যসভার শতবর্ষ সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সাহিত্যসভার বিতর্কিত বিদায়ী প্রধান সম্পাদক ও প্রাক্তন সহ-সভাপতি পরমানন্দ রাজবংশী।
বিভিন্ন বিতর্ক ও অভিযোগের জেরে পরমানন্দকে শিবসাগরের শতবর্ষ অধিবেশনে বয়কট করেছিল বিভিন্ন সংগঠন। তার পরও সভার প্রাক্তন সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি বরার সঙ্গে গত রাতে জেরেঙাপথারের মাঠে অধিবেশনস্থলে হাজির হন পরামনন্দ। তাঁকে দেখতে পেয়েই উত্তেজিত জনতা তাড়া করে। মারধরের চেষ্টা করা হয়। কোনওমতে পালিয়ে বাঁচেন পরমানন্দ। পাঁচ দিনের অধিবেশনের জন্য পরমানন্দকে প্রথমে অভ্যর্থনা কমিটির সদস্যরা সাদর আমন্ত্রণ জানায়। তাই-আহোম ছাত্র পরিষদের নেতা তাঁকে অভ্যর্থনা করে সভাস্থলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পরমানন্দ আসার কথা ছড়িয়ে পড়তেই মানুষ তেড়ে আসে। পরে অভ্যর্থনা কমিটির দফতর ঘেরাও করা হয়। রাতেই শিবসাগর থেকে যোরহাটে ফিরে যান পরমানন্দ। সাহিত্যসভার প্রাক্তন সভাপতিদের মতে, এত বিতর্কের পরও জোর করে পরমানন্দের অধিবেশনে ঢোকার চেষ্টা করা ঠিক হয়নি।
১০০ বছর আগে জেরেঙাপথারেই সাহিত্যসভার পথ চলা শুরু। তাই এ বারের অধিবেশন ওই মাঠেই করার সিদ্ধান্ত হয়। সভার তোরণ গড়া হয় রংঘরের আদলে। শতবর্ষ প্রাচীন সাহিত্যসভার এত গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন পরমানন্দ বিতর্কে প্রথম থেকেই জটিলতার আবর্তে। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতে রাজি হননি সাহিত্যিক ও প্রাক্তন সভাপতি লক্ষ্মীনন্দ বরা। পরমা প্রসঙ্গে দ্বিধাবিভক্ত সাহিত্যসভার কর্তারাও। অবশ্য সভার কাজকর্ম নিয়ম মেনে চলছে। বসেছে বইমেলা। আসু, আটাসুর স্বেচ্ছাসেবকরা ভিড় সামলাচ্ছেন। সাড়ে তিন হাজার মানুষকে খাওয়ানোর জন্য মোতায়েন ৭০০ রাঁধুনি। চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাহিত্য পাঠ, সাহিত্য আলোচনা।
কংগ্রেস বিধায়ক প্রণব গগৈয়ের কেন্দ্রে সভা বসলেও সভাস্থলে বিজেপির স্টল, বিজেপি বিধায়ক, বিজেপির ব্যানার-পতাকার উপস্থিতি বেশি চোখে পড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy