অতিমারির দাপটে এ বারের স্বল্পমেয়াদি বাদল অধিবেশন থেকে বিশেষ কিছু প্রত্যাশা ছিল না বিরোধী দলগুলির। কিন্তু আচমকাই মোদী-বিরোধী আন্দোলন-মঞ্চে পরিণত হল সংসদ চত্বর। আজ গোটা রাত ধরে কৃষি সংক্রান্ত বিল পাশ করানোর বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির ধর্না, স্লোগান এবং গান চলল গাঁধীমূর্তির পাদদেশে। এমনটা শেষ কবে দেখা গিয়েছে, বা আদৌ দেখা গিয়েছে কি না, মনে করতে পারছে না রাজধানীর রাজনৈতিক শিবির।
রাষ্ট্রপতির কাছে গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন কংগ্রেস-সহ বারোটি বিরোধী দলের সাংসদেরা। তাঁকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, বেআইনি ভাবে পাশ হওয়া বিলে সই না-করতে। প্রায় সব বিরোধী দলই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই কৃষি সংক্রান্ত বিল পাশের বিরোধিতা করায়, মোদী-বিরোধী আন্দোলন বড় মঞ্চ পেয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
কৃষি সংক্রান্ত দু’টি বিল পাশ ঘিরে গত কাল রাজ্যসভায় তুলকালাম হয়। তার জেরে আজ সকালে আট সাংসদকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। এঁরা হলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন ও দোলা সেন (তৃণমূল), রিপুন বরা, সৈয়দ নাসির হুসেন ও রাজীব সাতভ (কংগ্রেস) কে কে রাগেশ ও এলামারাম করিম (সিপিএম) এবং সঞ্জয় সিংহ (আপ)। কিন্তু চেয়ারম্যানের নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যসভায় পৌঁছন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদেরা। এমনকি, সভাকক্ষ ত্যাগ করতেও রাজি হননি তাঁরা।