অহমদাবাদের লোকালয়ে ভেঙে পড়েছে লন্ডনগামী বিমান। প্রশাসন সূত্রে খবর, অহমদাবাদের বিমানবন্দর থেকে উড়ানের পাঁচ মিনিট পরে অহমদাবাদের মেঘানিনগর এলাকায় ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। যে ভবনে বিমানটি আছড়ে পড়েছে, সেখানে অহমদাবাদের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা থাকতেন। এমনটাই বলছে প্রশাসনের একটি সূত্র। তবে ওই বাড়িটির কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানা যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, ওই হস্টেলে প্রায় ৫০ জন ইন্টার্ন থাকতেন। দুর্ঘটনার সময়ে যাঁরা সেখানে ছিলেন, সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদের বিমানবন্দরের ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে উড়েছিল। গন্তব্য ছিল লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক বিমানবন্দর। বিমানে সওয়ার ছিলেন ২৪২ জন। কত জনের মৃত্যু হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে তা প্রকাশ করেনি প্রশাসন। বিমানটি ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দরের কাছে লোকালয়ে। মনে করা হচ্ছে, যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানেও হতাহত হয়েছেন বহু মানুষ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মেঘানি এলাকার যে বহুতলে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানে থাকেন বিজে মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। তার পাশের একটি বিল্ডিংয়ে থাকেন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। তাঁরা অহমদাবাদের সিভিল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। কত জন হতাহত হয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। অসমর্থিত একটি সূত বলছে, ১৫ জন চিকিৎসক আহত হয়েছেন।
ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (আনন্দবাজার ডট কম তার সত্যতা যাচাই করেনি)। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, লোকালয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি। তার পরেই সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে। গলগল করে বার হতে থাকে কালো ধোঁয়া। অন্য একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি বহুতলের মধ্যে ভেঙে পড়েছে বিমানটি। বাড়িতে গেঁথে রয়েছে বিমানটির লেজ। ধুলোয় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বহুতল ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হস্টেল।
দুর্ঘটনার পরে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও। ওই বিমানবন্দর আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় শতাধিক অ্যাম্বুল্যান্স। গ্রিন করিডোর করে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় সিভিল হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকেরই দেহ ঝলসে গিয়েছে।