তেলের দেশ। সেই সঙ্গে ইসলামি মৌলবাদে অর্থের জোগানদার বলেও পরিচিত। এ হেন সৌদি আরবে প্রথম সফরে এসে পাক জঙ্গিদের অর্থের জোগান বন্ধ করতে সক্রিয় হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সৌদি সফরের শেষ দিনে সৌদি রাজা সলমন বিন আব্দুলাজিজ-সহ সে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন মোদী। সৌদির বিভিন্ন ইসলামি ব্যাঙ্ক-সহ নানা উৎস থেকে পাক জঙ্গিরা আর্থিক সাহায্য পায় বলে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ ভারতীয় গোয়েন্দাদের। কিন্তু সৌদি নেতৃত্বের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে বিষয়টি নিয়ে এর আগে কখনও আলোচনা হয়নি বলে সাউথ ব্লক সূত্রে খবর। আজ সৌদি রাজা ও বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সরাসরি বিষয়টি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের দাবি, বৈঠকের শেষে দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতেও জঙ্গিদের অর্থের উৎস বন্ধ করার কথা রয়েছে। ‘সব রাষ্ট্রকে’ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলেছে দিল্লি ও রিয়াধ। সাউথ ব্লক সূত্রের দাবি, এই ঘোষণার লক্ষ্য পাকিস্তান। জঙ্গিদের অর্থ জোগানের বিষয়টি বিবৃতিতে থাকার অর্থ এই বিষয়ে মোদীর দৌত্য সফল হয়েছে।
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মৈত্রী বহু দিনের। কিন্তু ভারত-সৌদি সম্পর্কের সমীকরণও অনেক বদলেছে বলে মনে করেন কূটনীতিকেরা। তাঁদের মতে, দিল্লি তেলের জন্য ইরানের উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে অন্য উৎসের দিকে তাকাতে শুরু করার পরেই এই বদল শুরু হয়। মনমোহন সিংহ জমানায় সৌদি আরব এক শীর্ষ জঙ্গি নেতাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল বলেও দাবি গোয়েন্দাদের একাংশের। তার আগে সৌদি আরবের কাছ থেকে এই ধরনের সহযোগিতা পায়নি ভারত। এ বার জঙ্গিদের অর্থের জোগান রুখতেও সহযোগিতা পাওয়া নিয়ে আশাবাদী সাউথ ব্লক।
সাইবার-অপরাধ রোখার ক্ষেত্রেও আজ হাত মিলিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দু’দেশ। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় নিয়েও সমঝোতা হয়েছে দিল্লি ও রিয়াধের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy