লালুপ্রসাদের জমানায় বিহারে অপরাধীদের বাড়বাড়ন্তের কথা আগামী ১০০ বছর বিহারবাসী মনে রাখবেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বৃহস্পতিবার বিজেপির ‘মেরা বুথ, সবসে মজবুত’ (আমার বুথ, সবচেয়ে মজবুত) কর্মসূচিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতায় তিনি বলেন , ‘‘সেই জঙ্গলরাজের স্মৃতি আগামী ১০০ বছরেও ভুলবে না বিহার। বয়স্কদের কাছে আমার আবেদন, সেই সময় অপারাধীদের কেমন বাড়বাড়ন্ত ছিল, নতুন প্রজন্মকে সে কথা জানান।’’
শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় দফায় বিহারের বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন মোদী। তার আগে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সে রাজ্যের বুথস্তরের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’-কে ‘লাঠবন্ধন’ (দুষ্কৃতীদের দল) বলে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওরা শুধু অশান্তিই করতে পারে।’’ ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার বিরোধী জোটের বৈঠকে লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ ঘোষণা করে হয়েছে। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দিল্লির আদালতে লালু, তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তেজস্বীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই নেতারা জামিন পেয়েছেন বলে এখনও বাইরে রয়েছেন।’’
এখনও পর্যন্ত নীতীশ কুমারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা না হলেও মোদী শুক্রবার বুঝিয়ে দিয়েছেন বিহারের ভোটে নীতীশকে সামনে রেখেই লড়বে তাঁদের জোট। তিনি বলেন, ‘‘নীতীশজির নেতৃত্বেই বিহারে জঙ্গলরাজের অবসান ঘটেছিল।’’ দীপাবলির উৎসব উপলক্ষে বিহারে গত কয়েক দিন হেভিওয়েট নেতাদের দিয়ে প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। শুক্রবার ফের এক বার বিহার জুড়ে প্রচারে নামতে চলেছেন মোদী-অমিত শাহেরা। মাঝের কয়েক বছর বাদ দিলে প্রায় দু’দশক ধরে বিহারে ক্ষমতা ধরে রেখেছে এনডিএ। ফলে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া যে রয়েছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই কারণে যুব সম্প্রদায় ও মহিলাদের মন জিততে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে চলা সরকারি প্রকল্পগুলির লাভ কী ভাবে তাঁরা পেয়ে চলেছেন, তা নিয়ে প্রচারে জোর দেওয়ার কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে।