ইন্ডিয়া গেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি— পিটিআই।
রাজধানী দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে ২৮ ফুট লম্বা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৮০ মেট্রিক টনের ওই মূর্তি একটি গ্রানাইট শিলাকেই কেটে তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে মোদী রাজপথ অ্যাভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে কর্তব্য পথ নামকরণ করেন।
দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজির ভূমিকার কথা। পাশাপাশি দাবি করেন, স্বাধীনতা উত্তর ভারতে নেতাজির প্রতি যথোচিত সম্মান প্রদর্শন করেনি কোনও সরকারই। মোদী বলেন, ‘‘আজ, ইন্ডিয়া গেটে জাতীয় নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এই সুবিশাল মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হল।’’ এই মূর্তিকে শক্তিশালী ভারতের প্রতীক হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই মোদীর খোঁচা পূর্বতন সরকারের দিকেও। তিনি বলেন, ‘‘যদি স্বাধীনতার পর ভারত সুভাষবাবুর প্রদর্শিত পথে চলত, তাহলে দেশ আজ কোথায় পৌঁছে যেত। কিন্তু, দূর্ভাগ্যজনক ভাবে, স্বাধীনতার পরই আমরা আমাদের এই মহান নেতাকে ভুলে গেলাম! তাঁর দেখানো পথ, এমনকি তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত চিহ্নকেও উপেক্ষা করা হল।’’
এই প্রসঙ্গেই মোদীর ভাষণে উঠে আসে লালকেল্লায় তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের কথাও। তিনি বলেন, ‘‘নেতাজি স্বপ্ন দেখেছিলেন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেই অভিজ্ঞতার অংশীদার। আমি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে লালকেল্লায় তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের সৌভাগ্য অর্জন করেছি।’’
ইন্ডিয়া গেটের যে জায়গায় নেতাজির মূর্তি বসেছে সেখানে আগে ছিল অমর জওয়ান জ্যোতি। এই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ব্রিটিশ রাজের সময় এখানে ব্রিটেনের প্রতিনিধির মূর্তি ছিল। আজ, একই জায়গায় নেতাজির মূর্তি স্থাপন করা হল। যা শক্তিশালী ভারতের প্রতীক।’’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবেশ করার পরই প্রধানমন্ত্রীকে হাসি গল্পে মেতে উঠতে দেখা যায় ওই মূর্তি স্থাপনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে। তাঁদের প্রত্যেককে আগামী বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারাডে তাঁর অতিথি হিসাবে নিমন্ত্রণও করেন প্রধানমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy