মধুচক্রের ফাঁদে ফেলে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে এক যুবকের থেকে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বেঙ্গালুরুতে। মাদক বলে সাদা রঙের যে পাউডার দেখানো হয়েছিল, তা আসলে বেকিং সো়ডা। বেঙ্গালুরুর ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে প্রতারণার মামলায় ইতিমধ্যে এক তরুণী-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী রাকেশ রেড্ডির সঙ্গে একটি ‘ডেটিং অ্যাপে’ আলাপ জমান অভিযুক্ত তরুণী সঙ্গীতা সাহানী। গত ১৭ জুলাই তাঁদের আলাপ হয়। এর পরে বেঙ্গালুরুর এক শপিং মলে দেখাও করেন দু’জনে। সেখানে একটি পানশালায় তাঁরা মদ্যপান করেন এবং তার পরে রাকেশকে একটি বাড়িতে নিয়ে যান সঙ্গীতা। সেখানে তাঁরা উল্লাস করার সময় আচমকাই চার জন ব্যক্তি ওই বাড়িতে প্রবেশ করে হট্টগোল করতে থাকেন। রাকেশ এবং সঙ্গীতা মাদক সেবন করছেন বলে অভিযোগ তুলতে থাকেন তাঁরা।
সেই সময়েই এক ব্যক্তি বাড়িতে খোঁজাখুঁজির সময় সঙ্গীতার ব্যাগ থেকে সাদা রঙের পাউডার জাতীয় একটি বস্তুর প্যাকেট বার করেন। সঙ্গীতার ব্যাগ থেকে পাওয়া ওই বস্তুটি একটি মাদকদ্রব্য বলে দাবি করতে থাকেন তাঁরা। পুলিশে খবর দেওয়ারও ভয় দেখান ওই চার ব্যক্তি। মাদক পাচারের অভিযোগে রাকেশদের গ্রেফতার করিয়ে দেওয়া হবে, এমন হুমকিও দেওয়া হয়। এই বলে ভয় দেখিয়ে রাকেশের থেকে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
পরে ঘটনাটি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তাতে দেখা যায় ওই তরুণীও প্রতারকদের দলের সঙ্গেই যুক্ত। যে সাদা পাউডার দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল রাকেশকে, সেটিও কোনও মাদক নয়। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ওই সাদা রঙের বস্তুটি আসলে বেকিং সো়ডা। পুলিশ সূত্রে খবর, সঙ্গীতা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। আগে একটি পানশালায় কাজ করতেন তিনি। পরে এই প্রতারকদলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি।