উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে নিজের প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুন করানোর অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মহিলা শিবা এবং তাঁর প্রেমিক ফরহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন মহিলা।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত সোমবার। ওই দিন সকালে একটি কালভার্টের নীচে নিকাশি নালা থেকে একটি গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে নিহতের নাম-পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। পরে দেহটি শনাক্ত হয় এবং জানা যায় সেটি শিবার স্বামী ইমরানের দেহ। পরে তদন্তে উঠে আসে, শিবাই তাঁর স্বামীকে খুন করিয়েছেন। এই কাজে শিবার প্রেমিক ফরহানের এক বন্ধুও জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। তাঁর খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এটি শিবার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তিন বছর আগে তাঁর প্রথম বিয়ে হয়। কিন্তু সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীকে ছেড়ে ইমরানের সঙ্গে সংসার পাতেন তিনি। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। ইমরান পেশায় রিকশাচালক। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ সূত্রে খবর, ইমরান মাদকাসক্ত ছিলেন। যা কিছু রোজগার করতেন, তা নেশার পিছনেই ব্যয় করতেন। এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগে থাকত। এই অশান্তির জেরে প্রায় মাস ছয়েক আগে শিবা বাপের বাড়িতে চলে যান। সেখানেই সৌদিফেরত ফরহানের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, বাপের বাড়িতে থাকাকালীনই ফরহানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় শিবার। ফোনে কথা হতে থাকে দু’জনের। দেখাও করতে শুরু করেন তাঁরা। এ কথা জানাজানি হওয়ার পরে ইমরানের সঙ্গে অশান্তি আরও বৃদ্ধি পায় শিবার। শিবাকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরার জন্য চাপ দিতে থাকেন তাঁর স্বামী। এই অবস্থায় ফরহানের সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যার ছক কষেন শিবা। পুলিশ সূত্রে খবর, ইমরানকে প্রথমে নেশাগ্রস্ত করেন তাঁরা। তার পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। শেষে ইমরানের দেহ ফেলে দেওয়া হয় নিকাশি নালার মধ্যে।