অসমের চা বাগানে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। আট বছর বয়সি ওই নির্যাতিতাকে খুনের পরে নিকাশি নালায় দেহ ফেলে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। দেহের উপর শুকনো পাতাও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, যাতে কেউ দেখতে না পান। অসমের ডিব্রুগড় জেলার ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার আগুন ধরানোর জন্য এলাকাতেই একটি চা বাগানের কাছে কাঠ খুঁজতে বেরিয়েছিল নাবালিকা। ওই সময় অভিযুক্ত গ্রামেরই একটি জলাশয়ে মাছ ধরছিলেন। অভিযোগ, নাবালিকাকে একা ঘুরতে দেখে ওই ব্যক্তি তাকে তুলে চা বাগানের ভিতরে নিয়ে যান। পরে সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে।
শনিবার কাঠ জোগাড় করতে বেরিয়ে দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যেরা। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। প্রতিবেশীরাও খোঁজখবর নিতে শুরু করেন বিভিন্ন জায়গায়। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানাতেও। শেষে শনিবার রাত ৯টা নাগাদ চা বাগানের ভিতর একটি নিকাশি নালা থেকে উদ্ধার হয় নির্যাতিতার দেহ।
আরও পড়ুন:
এ দিকে দেহ উদ্ধারের পরই অভিযুক্ত সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। তা দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীরাই ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, ওই অভিযুক্তই নাবালিকাকে খুন করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগেও অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। নিজের মাকে খুন করে ১৪ বছর জেলে ছিলেন তিনি। তিন বছর আগেই ছাড়া পেয়েছেন। ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো-সহ অন্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।