সাইবার প্রতারণার মামলায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিহার পুলিশ। বিহারের গোপালগঞ্জ থেকে গত শুক্রবার তাঁদের পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতদের নাম অভিষেক কুমার এবং আদিত্য কুমার। দুই ভাই মিলে এক সময়ে চায়ের দোকান চালাতেন। পরে অভিষেক দুবাইয়ে চলে যান এবং সাইবার জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। তাঁর ভাই আদিত্যও এই প্রতারণায় তাঁকে সাহায্য করতেন বলে অভিযোগ। গত শুক্রবার তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত শুক্রবার গোপালগঞ্জের এক গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। ওই অভিযানে দুই ভাইকে গ্রেফতারের পাশাপাশি নগদ ১,০৫,৪৯,৮৫০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩৪৪ গ্রাম সোনা এবং ১.৭৫ কেজি রূপোও। পুলিশের সন্দেহ, ওই নগদ অর্থ এবং সোনা-রূপোর সঙ্গে সাইবার অপরাধের যোগ থাকতে পারে। গোপালগঞ্জের ডেপুটি পুলিশ সুপার অবন্তিকা দিলীপ কুমার জানান, ওই নগদ এবং সোনা-রূপোর পাশাপাশি ৮৫টি এটিএম কার্ড, ৭৫টি পাসবই, ২৮টি চেকবই, বহু আধার কার্ড, দু’টি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল এবং একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
মূল অভিযুক্ত অভিষেক আগে একটি ছোট চায়ের দোকান চালাতেন। ভাই আদিত্যও তাঁকে সেই কাজে সাহায্য করতেন। পরে মূল অভিযুক্ত দুবাইয়ে চলে যান। পুলিশের সন্দেহ সেখান থেকেই সাইবার প্রতারণায় হাতেখড়ি হয় তাঁর। পরে আর্থিক লেনদেন এবং সাইবার প্রতারণার অন্য প্রযুক্তিগত কাজকর্মে তাঁকে সাহায্য করতে শুরু করেন আদিত্যও।
আরও পড়ুন:
ডেপুটি পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ওই অভিযুক্তেরা প্রথমে প্রতারণার টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সরিয়ে ফেলতেন। তার পরে ব্যাঙ্ক থেকে তুলে তা নগদে বদলে নিতেন। এই সাইবার প্রতারণাচক্র বিহারের বাইরেও ছড়িয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, ধৃতদের জেরা করে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।