পুরীর জগন্নাথ মন্দির। —ফাইল চিত্র।
পুরীর মন্দিরের চারটি দ্বারের মধ্যে তিনটিই বন্ধ। কেবল সিংহদ্বার খোলা পুণ্যার্থীদের জন্য। একটি মাত্র দরজা দিয়ে জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করতে নিত্যদিন নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সকলকে। এই পরিস্থিতিতে ঘুষ নিয়ে বন্ধ দ্বার দিয়ে লোক ঢোকানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল এক পুলিশকর্মীকে।
অভিযুক্তের নাম শুভাশিস দাস। তিনি ওড়িশার বিশেষ সশস্ত্র পুলিশবাহিনীতে কর্মরত। অভিযোগ, শনিবার তিনি পুরীর মন্দিরের পশ্চিম দ্বার দিয়ে এক পুণ্যার্থীকে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু খাতায় কলমে ওই দরজাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। কেবল মাত্র সিংহদ্বার দিয়েই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা।
ঘুষ নেওয়ার এই ঘটনা কেউ ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়লে শোরগোল শুরু হয়। পুরীর এসপি কানওয়ার বিশাল সিংহ অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেন। ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
কোভিড অতিমারির পর থেকেই পুরীর মন্দিরের চারটি দ্বারের মধ্যে তিনটি দ্বার বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই দরজাগুলি খুলে দেওয়ার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। অভিযোগ, ইচ্ছা করে দরজা বন্ধ রেখে পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষীরা। মন্দিরে প্রবেশকে কেন্দ্র করে ব্যবসা শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে শনিবারের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy