উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে গত বছর হওয়া হিংসার ঘটনার তদন্তে গঠিত তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি তাদের রিপোর্ট গত বৃহস্পতিবার জমা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। রাজ্যের মন্ত্রী অনিল রাজভর বলেছেন, ‘‘ওই রিপোর্ট যখন প্রকাশিত হবে, কারও কাছে কিছু গোপন করা হবে না। নিশ্চিত ভাবে রিপোর্টটি সকলের চোখ খুলে দেবে।’’
শোনা যাচ্ছিল, ৪৫০ পাতার গোপন তদন্ত-রিপোর্টটি আজ যোগী মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ হবে। সেটি এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে কোনও কোনও সূত্রের দাবি, সম্ভলের জনবিন্যাস বদলে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা কমতে কমতে ১৫-২০ শতাংশে এসে ঠেকেছে, যা আগের চেয়ে অর্ধেকেরও কম। হামলাকারীদের বাইরে থেকে আনা হয়েছিল বলেও লেখা হয়েছে রিপোর্টে। সূত্রের আরও দাবি, ‘১৯৪৭ থেকে প্রতিটি সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে হিন্দুদেরই প্রধানত নিশানা করা হয়ে এসেছে’ বলে মন্তব্য করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৪-এর ২৪ নভেম্বরের ঘটনাটিতেও সেই হিন্দুদের উপরেই আরও এক বার হামলার ছক কষা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সম্ভলের শাহি জামা মসজিদটি একটি মন্দিরের উপরে তৈরি হয়েছে, হিন্দু পক্ষের এমন আর্জির ভিত্তিতে সম্ভল জেলা আদালতের নির্দেশমাফিক সেখানে ২০২৪-এর ১৯ নভেম্বর প্রথম দফার সমীক্ষা হয়। ২৪ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা ঘিরে সংঘর্ষ বাধে। ৪ জন মারা যান ও ২৯ জন আহত হন।
ঘটনার তদন্তে ইলাদাবাদ হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবেন্দ্রকুমার অরোড়া, প্রাক্তন আইপিএস অরবিন্দকুমার জৈন এবং প্রাক্তন আইএএস অমিত মোহন প্রসাদকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনকরা হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)