বেআইনি অর্থ লগ্নির অভিযোগ উঠেছে হায়দরাবাদের এক সংস্থা ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে একটি বিমান আটক করে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অভিযোগ, সাধারণ মানুষের লগ্নির টাকা নয়ছয় করে এই বিমানেই বিদেশে পালিয়েছিলেন ওই সংস্থার কর্ণধার।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, বহু বিনিয়োগকারীর থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছিল হায়দরাবাদের ‘ফ্যালকন গ্রুপ’ নামে ওই সংস্থা। বিনিয়োগকারীদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে বিনিয়োগ করলেই মোটা অঙ্কের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। এ ভাবে মোট ৬,৯৭৯ জনের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছিল। অভিযোগ, এর পরেই ওই টাকা নিয়ে গত ২২ জানুয়ারি বিদেশে চম্পট দেন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তারা।
ওই ঘটনার তদন্তে শুক্রবার হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে হানা দিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারীরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ব্যবসায়িক বিমানে তল্লাশিও চালান তদন্তকারীরা। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই বিমানে চেপেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন ওই সংস্থার কর্মীরা। আটটি আসন বিশিষ্ট ওই ব্যবসায়িক বিমানের নাম ‘এন৯৩৫এইচ হকার ৮০০এ’। ২০২৪ সালে প্রায় ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা) দিয়ে বিমানটি কেনা হয়েছিল। তল্লাশির পর বিমানটিকে আটক করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লগ্নির টাকা দিয়েই বিমানটি কেনা হয়েছিল বলে অনুমান ইডির। পাশাপাশি, সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।