নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
মাত্র একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যে রাশ টানতে এ বার বাকি বিশ্বকেও আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ধরনের সামগ্রীতে তাঁর সরকার যে কড়া পদক্ষেপ করতে চায়, সোমবার তা ফের বললেন কেন্দ্রীয় খাদ্য, ক্রেতা সুরক্ষা এবং গণবণ্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানও। সরকারি সূত্রের খবর, শীঘ্রই ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক পণ্যের একটি তালিকা প্রকাশ করবে কেন্দ্র। ২ অক্টোবর থেকে যাদের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হবে পুরোপুরি।
‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের কায়দাতেই বুধবার মথুরার মঞ্চ থেকে সারা দেশে প্লাস্টিক সামগ্রী বর্জনকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলার ডাক দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। প্লাস্টিক-দূষণ এখন সারা পৃথিবীরই মাথাব্যথা। এক বার ব্যবহারের প্লাস্টিক সামগ্রীর প্রায় অর্ধেকই শেষ পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে সমুদ্রে। তাতে পরিবেশের দফারফা তো হচ্ছেই, দূষণ ঢুকে পড়ছে মানুষের খাবারের মধ্যেও। সবার আগে কোপ পড়ার কথা ওই সব প্লাস্টিক পণ্যের উপরেই। সে কথা মনে করিয়ে এ দিন গ্রেটার নয়ডায় রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্কট সংক্রান্ত এক আলোচনায় মোদী বলেন, ‘‘আমার সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, আগামী দিনে এক বার ব্যবহারের প্লাস্টিক পণ্য পুরো বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমার বিশ্বাস, তাকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে বাকি বিশ্বেরও।’’
অনেকে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন কার্যত নিজের উদ্যোগে যোগাভ্যাসের সুফলকে সারা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়েছেন, প্লাস্টিক বর্জনেও কিছুটা সেই ভূমিকা নিতে চাইছেন তিনি। সূত্রের খবর, বুধবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মথুরায় প্লাস্টিক বর্জন অভিযানের ঘোষণা হবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে। বলা হবে এক বার ব্যবহারের প্লাস্টিক পণ্য বর্জনকে এ বছর ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ স্লোগানের পুরোভাগে রাখার কথাও। অনুষ্ঠানে আসতে পারেন চব্বিশ জন মহিলা, যাঁরা আবর্জনা থেকে প্লাস্টিক পণ্য বাছাইয়ের কাজ করেন। তবে এ দিন পাসোয়ানের কাছে দেশের প্লাস্টিক শিল্পের প্রতিনিধিদের দাবি, ভারতে বছরে মিনারেল ওয়াটারের বোতলই তৈরি হয় ৩০ হাজার কোটি টাকার। সব ধরনের প্লাস্টিকের বোতল ধরলে ওই অঙ্ক প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ কোটি টাকা। তার সঙ্গে জড়িয়ে অন্তত ৭ কোটি মানুষের রুজি-রুটি। কিন্তু কেন্দ্রের পাল্টা যুক্তি, প্লাস্টিক-দূষণকে অস্বীকার করার উপায় নেই। প্লাস্টিকের ব্যবহারে রাশ টানতে যে বিকল্প উঠে আসবে, তাতেও কাজ হবে অনেকের।
এর মধ্যে হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটের প্রচারে রোহতকে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে ১২০ টাকা দরে ৭,৫০০টি মাটির কলসি কিনেছে জেলা প্রশাসন। তাতে আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরির প্রশ্ন, বিজেপির দলীয় সভার জন্য প্রশাসন টাকা খরচ করে কী ভাবে? জেলাশাসকের দাবি, ওই কুঁজো কেনায় সুবিধা হয়েছে স্থানীয় কুমোরদেরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy