Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Sputnik

Sputnik Light: শর্তসাপেক্ষে স্পুটনিক লাইটে ছাড়ের সুপারিশ

স্পুটনিক লাইট একটিমাত্র ডোজ়ের টিকা— কার্যত মূল টিকারই প্রথম ডোজ়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

  সংবাদ সংস্থা 
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:০৪
Share: Save:

রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি প্রতিষেধকের এক ডোজ়ের সংস্করণ স্পুটনিক লাইটকে শর্তসাপেক্ষে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়ার সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় প্যানেল। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন (সিডিএসসিও)-এর সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি ওই বিদেশি প্রতিষেধকের সীমিত ব্যবহারের বিষয়টিতে ছাড়পত্রের সুপারিশ করেছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি।

স্পুটনিক-ভি এবং স্পুটনিক লাইট টিকাতে ব্যবহৃত উপাদান একই। পার্থক্য হল, স্পুটনিক লাইট একটিমাত্র ডোজ়ের টিকা— কার্যত মূল টিকারই প্রথম ডোজ়। ভারতে স্পুটনিক টিকা তৈরি করছে ডক্টর রেড্ডিজ় ল্যাবরেটরিজ়। বুস্টার হিসাবে স্পুটনিক লাইট ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র চেয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। তবে সংস্থাটির কাছে আরও তথ্য চাওয়া হয়েছিল।

দেশে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় তরঙ্গ তার শিখর ছুঁয়ে ক্রমশ নামতে শুরু করেছে বলে গত কাল ইঙ্গিত দিয়েছিল কেন্দ্র। মহারাষ্ট্রের
স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে আজ সরাসরি জানিয়ে দিলেন, আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ পুরোপুরি চলে যাবে। দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও নিম্নমুখী। কমছে সংক্রমণের হারও।

দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলাকালীন গত ২১ জানুয়ারি অন্তত সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি মানুষ দৈনিক আক্রান্ত হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা দেড় লক্ষের কাছাকাছি। সেই পরিসংখ্যানের রেশ ধরেই আজ মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টোপে বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। অনুমান, আগামী মার্চের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ শেষ হয়ে যাবে।’’ তিনি জানিয়েছেন, ওমিক্রনের দাপটে
যখন করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছিল, তখন দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজারের কাছাকাছি। এখন তা ১৫ হাজারের মতো দাঁড়িয়েছে।

দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা পাঁচ লক্ষের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারতে করোনায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ লক্ষ মানুষ করোনায় মারা গিয়েছেন। ওই সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত আইআইএম, আমদাবাদের অধ্যাপক চিন্ময় তুম্বে বলেন, ‘‘আমরা তিনটি ডেটাবেস নিয়ে সমীক্ষা করেছিলাম। সেই সমীক্ষা একটি বিজ্ঞান সংক্রান্ত জার্নালে প্রকাশিত হয়।’’ কেন্দ্র অবশ্য এই ধরনের কোনও সমীক্ষাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sputnik
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE