বাঁচার আর ইচ্ছা নেই তাঁর। তাই স্বেচ্ছাতেই চলে যাচ্ছেন। তাঁর এই কাজের জন্য যেন ক্ষমা করে দেওয়া হয়। চিঠিতে এই কথাগুলি লিখে ২২তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন পুণের এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী বছর পঁচিশের অভিলাষা ভাউসাহেব কোঠিম্বিরে।
শুক্রবার সকালে অভিলাষার দেহ উদ্ধার হয়েছে। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অভিলাষা থাকতেন হিঞ্জেওয়াড়ি এলাকায়। সেখানেই একটি বহুতল আবাসন থেকে ঝাঁপ দেন ওই তরুণী। আত্মহত্যার আগে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিলাষাকে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ওই আবাসনের ভিতরে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার পর লিফ্টে করে ২২তলায় পৌঁছোন তিনি। তার পরই সেখান থেকে ঝাঁপ দেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
অভিলাষার বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সেই সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, ‘‘দুঃখিত। আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। নিজের ইচ্ছাতেই চলে যাচ্ছি। বাঁচার আর এতটুকুও ইচ্ছা নেই।’’ উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, কোনও মানসিক চাপ ছিল অভিলাষার। অবসাদেও ভুগছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। যে কারণে নিজেকে শেষ করার পথ বেছে নিয়েছেন। তবে নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিলাষার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিভাবক এবং আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গত বছরের সেপ্টেম্বরেও পুণের এক বহুজাতিক সংস্থার কর্মী আত্মহত্যা করেন। ‘কাজের চাপে’ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছিলেন তিনি। ওই কর্মী লেখেন, ‘‘৪৫ দিন ঠিক করে ঘুমোইনি। ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আর পারলাম না। আসি।’’ চিঠির শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন যুবক। অভিলাষার ক্ষেত্রে তেমন কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।