E-Paper

রাহুল-খড়্গের ফোন লালুকে, রফা অধরা বিরোধী মহাজোটে

হাতে সময় না থাকায় সব দলেরই অনেক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে শুরু করে দিয়েছেন। প্রয়োজনে পরে মনোনয়ন প্রত্যাহারের রাস্তাও খোলা রাখা হচ্ছে।

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৫৩
(বাঁ দিক থেকে) রাহুল গান্ধী, লালু প্রসাদ যাদব এবং মল্লিকার্জুন খড়্গে।

(বাঁ দিক থেকে) রাহুল গান্ধী, লালু প্রসাদ যাদব এবং মল্লিকার্জুন খড়্গে।

বিহারে বিরোধীদের জোটের আসন রফা নিয়ে ঐকমত্য তৈরি করতে রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খড়্গে ফোনে কথা বললেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ফোনে লালু কংগ্রেসের শীর্ষনেতাদের বলেছেন, ‘‘আপনারা আরজেডি-র সমাধান সূত্র মেনে নিন।’’

বিহারে ৬ নভেম্বরের প্রথম দফার ভোটের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার শেষ দিন শুক্রবার। তার ২৪ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। ৪৮ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কংগ্রেস, আরজেডি, সিপিআই-এমএল লিবারেশন, বিকাশশীল ইনসান পার্টি ও অন্যান্য দলগুলি কে কত আসনে লড়বে, তা চূড়ান্ত হয়নি। ফলে কোনও দলই আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। যদিও হাতে সময় না থাকায় সব দলেরই অনেক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে শুরু করে দিয়েছেন। প্রয়োজনে পরে মনোনয়ন প্রত্যাহারের রাস্তাও খোলা রাখা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, আসন রফা নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় মুকেশ সাহনির বিকাশশীল ইনসান পার্টি বিরোধীদের ‘মহাগঠবন্ধন’ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে ফেলেছিল। সাহনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেও পরে তা বাতিল করেন। সূত্রের খবর, গান্ধী পরিবারের তরফে সাহনিকে জোট না ছাড়ার বার্তা দেওয়া হয়।

আসন রফা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে বিহার কংগ্রেসের নেতারা দিল্লি থেকে পটনায় পৌঁছে বুধবার রাত দু’টো পর্যন্ত তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু তার পরেও সমাধান বার হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে পৌঁছন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপালও হাজির ছিলেন। নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পরে তাঁরা লালু প্রসাদের সঙ্গে ফোনেকথা বলেন।

সূত্রের খবর, এখনও তিনটি আসন নিয়ে কংগ্রেস ও আরজেডি-র মধ্যে দর কষাকষি চলছে। এর মধ্যে দু’টি আসনে কংগ্রেস পাঁচ বছর আগে লড়েছিল। কাহালগাঁও, বৈশালী ও জালে— এই তিনটি আসনে শেষ পর্যন্ত একাধিক জোট শরিক মনোনয়ন জমা দিতে পারে। এ ছাড়া কংগ্রেস যে সব আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বলেছে, তার মধ্যে বাছওয়ারা আসনটি রয়েছে। যে আসনে এর আগে সিপিআই লড়ে খুব সামান্য ব্যবধানে হেরেছিল। ফলে ওই আসনেও বিরোধী জোটের শরিকদের মধ্যে লড়াইয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কংগ্রেসের বক্তব্য, গত বার সত্তরটি আসনে লড়লেও কংগ্রেস এ বার ৬০-৬১টি আসনে লড়তে তৈরি। এর থেকে সাহনির পার্টিকে আসন ছেড়ে আরও কম আসন লড়াই করা সম্ভব নয়। আরজেডি-র যুক্তি, পাঁচ বছর আগে আরজেডি একক বৃহত্তম দল হলেও কংগ্রেসের খারাপ ফলের জন্য সরকার গঠন করা যায়নি। কংগ্রেস আবার বলছে, সে বার তাদের ভাগে অধিকাংশ খারাপ আসন পড়েছিল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আসন রফা নিয়ে দরকষাকষির মধ্যেই বিহার প্রদেশ কংগ্রেসকে রাহুল গান্ধী কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, আঞ্চলিক দলগুলির চাপের মুখে আর কোনও ভাবেই মাথা নোয়াবে না দল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rahul Gandhi Lalu Prasad Yadav Mallikarjun Kharge Congress RJD Bihar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy