Advertisement
E-Paper

সীমান্ত তো বদলাতে পারে, সিন্ধ হয়তো ফেরত এসে গেল ভারতে! আডবাণীকে উদ্ধৃত করার সময় পাকিস্তানকে নিশানা রাজনাথের

কাশ্মীর উপত্যকার মতো গুজরাত এবং সিন্ধের মাঝের সীমান্ত নিয়েও ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই এলাকা নিয়ে অতীতেও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনাথ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৪৯
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। গুজরাত সংলগ্ন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ নিয়ে ফের ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। গুজরাত সংলগ্ন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ নিয়ে ফের ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। — ফাইল চিত্র।

সীমান্ত তো বদলে যেতেই পারে। হতেও তো পারে, সিন্ধ আবার ভারতে ফেরত চলে এল! প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীকে উদ্ধৃত করার সময়ে এমনটাই বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাত এবং কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজনাথের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

রবিবার দিল্লিতে সিন্ধি সমাজ সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন রাজনাথ। সেখানেই বক্তৃতার একটি পর্যায়ে আডবাণীর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “আডবাণী একটি বইতে লিখেছেন, সিন্ধি হিন্দু এবং তাঁর প্রজন্মের লোকেরা ভারত থেকে সিন্ধের আলাদা হয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি। শুধু সিন্ধেই নয়, গোটা ভারতেরই হিন্দুরা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করেন। সিন্ধে বসবাসকারী অনেক মুসলিমও মানতেন, সিন্ধুর জল মক্কার আব-এ-জ়মজ়মের চেয়ে কম পবিত্র নয়।”

আডবাণীর ওই লেখা প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলেন, “আজ সিন্ধ ভারতের অংশ নয় তো কী হয়েছে, সভ্যতাগত দিক থেকে সিন্ধ সব সময় ভারতের অংশ হয়েই থাকবে। আর রইল ভূখণ্ডের কথা, সীমান্ত তো বদলাতেই পারে। কে বলত পারে, হয়তো কাল সিন্ধ ভারতে ফেরত এসে গেল।” এর পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “সিন্ধু নদীকে যাঁরা পবিত্র বলে মনে করেন, তাঁরা যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁরা সবসময় আমাদের লোক হয়েই থাকবেন।”

সিন্ধ প্রদেশ বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছে। তবে সিন্ধের ভূখণ্ড নিয়েও কাশ্মীর উপত্যকার মতোই দ্বন্দ্ব রয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের। এই এলাকা নিয়ে অতীতেও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনাথ। এ বার আডবাণীকে উদ্ধৃত করার সময়ে ফের পাকিস্তানকেই নিশানা করলেন তিনি।

সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি হয়েছে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খাঁড়িবেষ্টিত অঞ্চল স্যর ক্রিক। জম্মু ও কাশ্মীরের মতোই এই অঞ্চলটির সীমান্ত চিহ্নিতকরণ নিয়ে ইসলামাবাদ এবং দিল্লির মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্ক রয়েছে। কচ্ছের রণের পশ্চিমে অবস্থিত নালা এবং জলাভূমি এলাকা পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে আলাদা করে রেখেছে গুজরাতকে। এই অঞ্চলে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’। ১৯৯৯ সালে স্যর ক্রিক এলাকাতেই অনুপ্রবেশকারী পাক নজরদার বিমানকে ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা।

গত মাসেই গুজরাতে দশেরার এক অনুষ্ঠানে রাজনাথ পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘স্যর ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনও আগ্রাসনের জবাব‌ে এমন প্রত্যাঘাত হবে, যার অভিঘাতে ইতিহাস এবং ভূগোল উভয়ই বদলে যাবে।’’

Rajnath Singh Sindh Pakistan India Pakistan Tension
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy