দিল্লির লালকেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত দোষীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে। মঙ্গলবার এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। একই সঙ্গে দিল্লি ১০/১১ ঘটনা ‘মর্মান্তিক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান রাজনাথ। সংবাদসংস্থা পিটিআই দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২। আহত আরও ২০ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার সামনে লাল সিগন্যালে থামা হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানী তো বটেই, গোটা দেশে শোরগোল শুরু হয়েছে। বিস্ফোরণের নেপথ্যে কী কারণ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিস্তারিত তদন্তের পরই এ ব্যাপারে আলোকপাত করা সম্ভব হবে। রাজনাথও একই কথা বলেন। পাশাপাশি এ-ও বলেন, ‘‘আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’’
দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ তো বটেই, পাশাপাশি একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে। ঘটনার পর পরই লালকেল্লার সামনে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দল। এ ছাড়াও, এনএসজি এবং ফরেন্সিক দলও জড়িত এই ঘটনার তদন্তে।
আরও পড়ুন:
কী কারণে বিস্ফোরণ, তা এখনও নিশ্চিত করে জানা না-গেলেও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে ওই আই২০ গাড়িটি। গাড়ির নম্বরপ্লেট দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে গাড়ির মালিককে। জানা যায়, গাড়িটি হরিয়ানার। রেজিস্ট্রেশন হরিয়ানার বাসিন্দা মহম্মদ সলমনের নামে। তাঁকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়। যদিও সূত্রের দাবি, তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, গাড়িটি তিনি বিক্রি দেন। তবে কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করা হয়নি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সোমবার তাতে এক জনই ছিলেন। মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে আরও চার জনকে। যদিও তাঁদের নাম-পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে তাঁরা বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা স্পষ্ট নয়।