মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তির মুখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে আনল।কানাডার ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর ডেমোক্র্যাটিক গর্ভন্যান্স’ সংস্থার ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত এক বছরে গণহিংসায় পিটিয়ে মারার ঘটনায় বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ৬৩৭ জন। এই ব্যক্তিদের নাম, ছবি, বয়স এবং ঠিকানার পূর্ণাঙ্গ তালিকাওপ্রকাশ করা হয়েছে একই সঙ্গে।
বলা হচ্ছে, নিহতদের মধ্যে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করা ৪১ জন পুলিশকর্তাও রয়েছেন। পরিসংখ্যান তুলে দেখানো হয়েছে, তারআগের বছর, অর্থাৎ গোটা ২০২৩ জুড়ে এই পিটিয়ে মারার ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ৫১ জনের। অর্থাৎ মৃত্যু বেড়েছে ১২ গুণ। বলা হচ্ছে,হাসিনার দেশ ছাড়ার আগের দিন, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৪ অগস্ট যশোরের জাবের যশোর হোটেলে ২৪ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। অভিযোগ, এই নিহত ৬৩৭ জনের মধ্যে ১৮২ জনকে গত বছর ২৫ অগস্ট পুড়িয়ে মারা হয়েছে রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজি টায়ার্স-এ। অভিযোগ, এই ধরনের হত্যার ঘটনা এতটাই বেড়ে যাওয়া প্রমাণ করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর অবনতি ঘটেছে। এবং রাষ্ট্রের ক্ষমতা দুর্বল হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন থাকা সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রেও মানুষেরআস্থা কমছে। বিষয়টিকে নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। রিপোর্টের বক্তব্য, এই হত্যাকাণ্ডগুলি হয় রাজনৈতিক অথবা সাম্প্রদায়িক। হিন্দু এবং আহমেদিয়া মুসলমানদের নিশানা করা হয়েছে।
অন্য দিকে, জুলাই অভ্যুত্থানদিবস উপলক্ষে দেওয়া ইউনূসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক ও নির্বাচন ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় সকল সংস্কারে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সাথে আলোচনা চলমান আছে। একটি টেকসই রাজনৈতিকসমাধানের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তিকালীনসরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)