গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় তাণ্ডবের অন্যতম ‘চক্রী’ ইকবাল সিংহকে বুধবার গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। তাঁকে পঞ্জাবের হোসিয়ারপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবারই এই ঘটনার ‘মূল চক্রী’ দীপ সিধুকে পঞ্জাবের জিরাকপুর থেকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। আরও দুই চক্রীর খোঁজ চালাচ্ছিল তারা। তাঁদের মধ্যে এক জন এই ইকবাল। সে দিনের ঘটনার পর থেকে ফেরার ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে লালকেল্লায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। ইকবালের খবর বা তাঁর গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছিল পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ জানুয়ারি ঘটনার দিন ইকবালের বহু ভিডিয়ো তাদের হাতে এসেছে। সেখানে তাঁকে বিক্ষোভকারীদের লালকেল্লায় ঢোকার জন্য উস্কাতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, লহোরি গেটে জমায়েত হওয়া কৃষকদের লালকেল্লায় জোর করে ঢোকার জন্য ইন্ধন দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
পঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা ইকবাল। দিল্লির হিংসার ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ইকবালকে জেরা করে এই ঘটনায় আর কোনও মাথা জড়িত ছিল তা জানার চেষ্টা করা হবে। দীপ সিধুকে গ্রেফতার করার পর থেকে ইকবাল এবং লাখা সিদানার খোঁজ চালাচ্ছিল দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন দীপ। তবে সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিয়ো আপলোড করে আত্মপক্ষ সমর্থনের পাশাপাশি দায় এড়ানোর চেষ্টাও করেছিলেন। ফেরার দীপের অবস্থান বা গতিবিধি জানাতে পারলে ১ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েন সোমবার।
দীপ এবং ইকবালকে গ্রেফতার করতে পারলেও লাখার এখনও হদিশ পায়নি পুলিশ। তিনিও এই হিংসার ঘটনার ‘অন্যতম মূল চক্রী’ বলে অভিযোগ। তবে বেশ কিছু সূত্র দাবি করেছে, লাখাকে পুলিশ খুঁজে না পেলেও তাঁকে বিভিন্ন প্রতিবাদস্থলে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবারই তেমন একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। তাতে লাখাকে দিল্লির একটি প্রতিবাদস্থলে খাবার খেতে দেখা গিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচির আগের দিনও একটি ভিডিয়ো ছাড়েন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy