বিহারে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় চূড়ান্ত আসন বোঝাপড়া এখনও প্রকাশ্যে আসনি। এরই মধ্যে ১৪৩টি আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করল আরজেডি। প্রথম দফার মনোনয়ন ইতিমধ্যে মিটে গিয়েছে। সোমবারই দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কারা কোন আসনে প্রার্থী হচ্ছেন, তা ইতিমধ্যে দলীয় স্তরে স্থিরও করে ফেলেছেন তেজস্বীরা। বেশির ভাগ প্রার্থী মনোনয়নও জমা করে দিয়েছেন। এ অবস্থায় সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেদের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ্যে আনল আরজেডি।
আরজেডি ঘোষিত প্রার্থিতালিকায় দেখা যাচ্ছে, চারটি আসনে জোটসঙ্গীদের বিরুদ্ধেই লড়াইয়ে নামছে তারা। বৈশালী, লালগঞ্জ এবং কাহালগাঁওয়েও কংগ্রেস এবং আরজেডি উভয় শিবিরই প্রার্থী দিয়েছে। তারাপুরে অপর জোটসঙ্গী বিকাশশীল ইনসান পার্টির নেতা মুকেশ সাহনীর বিরুদ্ধেও প্রার্থী দিয়েছে আরজেডি।
বিহারের রাঘোপুর আসন থেকে আগেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। প্রথম দফাতেই ভোট রয়েছে রাঘোপুরে। সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে রাঘোপুর-সহ ১৪৩টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল আরজেডি। গত বুধবার তেজস্বী রাঘোপুর থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর পরই দেখা যায়, কোনও আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতালিকা প্রকাশ না-করেই বেশ কিছু আসনে একে একে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে থাকে কংগ্রেস।
পরে বৃহস্পতিবার ৪৮ জনের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে কংগ্রেস। শুক্রবার আরও এক জনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তার পরে শনিবার আরও পাঁচ আসনে এবং সোমবার ছয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেস। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভা ভোটে ‘মহাগঠবন্ধন’ (‘ইন্ডিয়া’য় বিহারের শরিকদলগুলির জোট এই নামেই পরিচিত)-এ আসন ভাগাভাগি নিয়ে কী বোঝাপড়া হয়েছে তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে বিহারে বিরোধী শিবিরের দুই প্রধান দলই নিজেদের মতো করে প্রার্থী ঘোষণা করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:
গত বিধানসভা ভোটে ১৪৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন তেজস্বীরা। এ বার আরজেডির প্রথম প্রকাশ্যে আসা প্রার্থিতালিকায় ১৪৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হল। সোমবারই বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন।
বিহারের শাসক জোট ‘এনডিএ’তে বিজেপি এবং জেডিইউ— দুই দলই সমানে সমানে আসন ভাগাভাগি করেছে। দুই দলই ১০১টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২৯টি আসনে লড়াই করবে অধুনাপ্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (আর)। জিতনরাম মাঝীর হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চা (হাম) এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) লড়াই করবে ছ’টি করে আসনে।