Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Russia

Russia-Ukraine War: যুদ্ধের আবহে ভারতে রুশ বিদেশমন্ত্রী লাভরভ, বৈঠক জয়শঙ্করের সঙ্গে

বৈঠকের পর রুশ বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ভারত চাইলে অনেক আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।’’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বার্তা মোদীকে জানানোর উদ্দেশ্যেই তাঁর এ বারের ভারত সফর।

দিল্লিতে বৈঠকে লাভরভ এবং জয়শঙ্কর।

দিল্লিতে বৈঠকে লাভরভ এবং জয়শঙ্কর। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৩৯
Share: Save:

ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই ভারত সফরে এসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শুক্রবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং যুদ্ধের ‘কারণ’ সম্পর্কে জয়শঙ্করকে অবহিত করেছেন লাভরভ। বৈঠকের পর রুশ বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ভারত চাইলে অনেক আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।’’ পাশাপাশি তিনি জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বার্তা মোদীকে জানানোর উদ্দেশ্যেই তাঁর এ বারের ভারত সফর।

লাভরভ-জয়শঙ্কর বৈঠকে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলির আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগের দিশানির্দেশ নিয়েও আলোচনা করেছেন দুই বিদেশমন্ত্রী। লাভরভ বলেন, ‘‘আমেরিকার জারি করা নিষেধাজ্ঞার কোনও প্রভাব ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে পড়বে না।’’ অন্য দিকে জয়শঙ্করের মন্তব্য, ‘‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলির তরফে আনা রাষ্ট্রপুঞ্জে তিনটি প্রস্তাবেই ভোটদান থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিল নয়াদিল্লি। সরাসরি রাশিয়া-বিরোধিতায় অংশ নেয়নি। পাশাপাশি রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা, রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ মান্য করা এবং যত দ্রুত সম্ভব হিংসা বন্ধের ডাকও দিয়েছে ভারত।

তবে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লাভরভের ভারত সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই উষ্মা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। আমেরিকার বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো শুক্রবার রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়ে ভারতের ইতিবাচক বার্তাকে ‘চূড়ান্ত হতাশাজনক’ বলেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এখন সময় সঠিক অবস্থান নেওয়ার। ইউক্রেনের জনগণের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং সার্বভৌমত্বের পক্ষে দাঁড়ানোর। এক ডজন দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে জ্বালানি ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE