Advertisement
E-Paper

খুলে গেল শবরীমালা মন্দির, তার আগেই ঢুকতে যাওয়া ১০ মহিলাকে ফেরত পাঠাল পুলিশ

পুলিশ মোতায়েন হলেও, মহিলা পু্ণ্যার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব না নেওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও পর্যন্ত অটল কেরলের বাম সরকার। 

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৩৭
আজই খুলছে শবরীমালার মন্দির। ছবি: রয়টার্স।

আজই খুলছে শবরীমালার মন্দির। ছবি: রয়টার্স।

মহিলা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না বলে আগেই দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই পরিস্থিতিতেই শনিবার থেকে ৪১ দিনের জন্য খুলে গেল কেরলেশবরীমালা মন্দির। কিন্তু মন্দির খোলার আগেই পুজো দিতে আসা ১০ মহিলাকে সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ওই মহিলারা পুজো দিয়ে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

এ দিন বিকাল ৫টায় পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। পুরুষদের পাশাপাশি মন্দিরে ঢুকতে পারবেন ১০-৫০ বছর বয়সী মহিলারাও। তার জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। চার দফায় ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। তবে পুলিশ মোতায়েন হলেও, মহিলা পু্ণ্যার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব না নেওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও পর্যন্ত অটল কেরলের বাম সরকার।

মন্দির কোনও আন্দোলনের জায়গা নয়। কোনও মহিলা শবরীমালায় পুজো দিতে যেতে চাইলে রাজ্য সরকার তাঁকে পুলি‌শি সহায়তা দেবে না বলে শুক্রবারই সাফ জানিয়ে দেন কেরলের দেবশ্বম মন্ত্রী কড়কমপল্লি সুরেন্দ্র। হাত তুলে নেন মন্দির কর্তৃপক্ষও।

আরও পড়ুন: খাদ্য-শিক্ষায় খরচ কমাল আমজনতা, সমীক্ষাই খারিজ করল সরকার​

তবে তাতেও দমছেন না এত দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া মহিলারা, যাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন পুণের নারী অধিকার কর্মী তৃপ্তি দেশাই। কেরল সরকার নিরাপত্তা দিক বা না দিক, মন্দিরে তিনি যাবেনই বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘’২০ নভেম্বরের পর শবরীমালায় যাব আমি। কেরল সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আর্জি জানাব। তবে দেবে কি দেবে না, তা তাদের উপর নির্ভর করছে। তবে নিরাপত্তা না দিলেও, শবরীমালা দর্শনে যাব আমি।’’

আরও পড়ুন: ‘জাতীয় সড়ক তো ঠিকই ছিল, রাজ্য সড়ক কিছু জায়গায় খারাপ ছিল, সেখানে ঝটকা খেতে হয়েছে!’​

শতাব্দী প্রাচীন নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে গত বছরই শবরীমালায় সব বয়সি মেয়েদের পুজোর অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার পর হাজার হাজার মানুষের বাধা অতিক্রম করে ওই মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেন কয়েক জন মহিলা। সেইসময় তাঁদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছিল পুলিশকে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন বহু মানুষ। সেই ঘটনার পরই আদালতে মামলা পুনর্বিবেচনা করে দেখতে একাধিক আর্জি জমা পড়েছিল, দিন কয়েক আগেই যা সাত বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত আসার আগেই মন্দির খুলে যাওয়ায় মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করে কেরল সরকার।

Sabarimala Kerala Supreme Court Sabarimala Temple
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy