ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে আগামী সাত দিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। পাশাপাশি, সরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দিল্লিতে সমস্ত নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিপাবলি-পরবর্তী সময়ে দিল্লি ধোঁয়াশায় ঢেকে যাওয়ার কারণেই এই নির্দেশ, জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপাতত সোমবার অর্থাৎ ১৫ তারিখ থেকে পরবর্তী সাত দিনের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নির্মাণ কাজ, যেগুলি থেকে প্রবল ধুলো ছড়ায়, সেগুলি আপাতত ১৪ তারিখ থেকে বন্ধ রাখতে বলেছে দিল্লি সরকার।
শনিবার কয়েক ঘণ্টা আগেই দূষণে ঢাকা দিল্লি নিয়ে কেজরি সরকারকে কড়া কথা শুনিয়েছিল শীর্ষ আদালত। দিল্লি সরকারের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, সেগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। জরুরি ভিত্তিতে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করতেও বলা হয়। তার পরেই সাংবাদিকদের কাছে কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘১৫ তারিখ থেকে আগামী সাত দিনের জন্য স্কুল বন্ধ থাকবে। ক্লাস হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এই সাত দিন সরকারি দফতরের কর্মীদেরও কাজ করতে হবে বাড়ি থেকে। সব কর্মীরাই বাড়ি থেকে কাজ করবেন। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বার হবেন না। বেসরকারি দফতরগুলির ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ যাতে কার্যকর করা যায়, সেই মর্মে অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর বন্ধ থাকবে নির্মাণ কাজ। তবে এই গোটা ঘটনাটিকে 'লকডাউন' বলা যাবে না।’’
দিল্লি ও দিল্লির উপকণ্ঠের অঞ্চলগুলি, যেমন গুরুগ্রাম, নয়ডা, গাজিয়াবাদ দূষণের তীব্র দাপটে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। দিপাবলির কারণেই এমন পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে প্রায় প্রতি বছরই। বছর বছর এই নিয়ে আদালতের নির্দেশও আসছে। তবু রাজধানীর চেহারা পাল্টায়নি। এ বছর শত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সেই ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছে দিল্লি শহর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy