E-Paper

আল কায়দার ঘাঁটি ভাঙতে তল্লাশি বঙ্গেও

খবর, ২০২৩ সালে আমদাবাদ ও অসমে ধৃত কয়েক জন বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র মেলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:২৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিছক কাজের সন্ধানে অনুপ্রবেশ বা মানব পাচার চক্রের চেনা ছক নয়, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার করে ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আল কায়দার সদস্যদের। তারা ছড়িয়ে পড়ছে অসম, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে দেশের বিভিন্ন অংশে। তৈরি করছে স্লিপার সেল। গড়ে উঠছে জেহাদি নেটওয়ার্কের গোপন জতুগৃহ। এক দিকে দিল্লির বিস্ফোরণ ও অন্য দিকে বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ‘চিকেন নেক’ অংশে নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার মধ্যেই আল কায়দার এই নয়া মডিউল ভাঙতে মাঠে নেমেছে এনআইএ। ওই নেটওয়ার্কের সন্ধানেই পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, হরিয়ানা ও গুজরাতের মোট ১০টি স্থানে বুধবার অভিযান চালিয়েছে তারা। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে এ দেশে ঢোকা লোকেদের সাহায্য করা বিভিন্ন সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তাদের সহযোগীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বহু ডিজিটাল ডিভাইস ও গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করে পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক বিশ্লেষণের জন্য।

খবর, ২০২৩ সালে আমদাবাদ ও অসমে ধৃত কয়েক জন বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র মেলে। তাদের জেরা করেই জানা যায় উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের দুর্বল অংশ ব্যবহার করে এ পারে ঢুকছে জেহাদি সদস্যরা। তাদের জন্য তৈরি করা থাকছে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র। তা নিয়ে তারা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের উত্তর-পশ্চিম-দক্ষিণে। সেখানকার বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল ও কারখানায় অনুপ্রবেশকারীদের সস্তার শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

এনআইএ জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ভারতের অভ্যন্তরে ও সীমান্তের ওপারে সক্রিয় জঙ্গি নেটওয়ার্ক, আর্থিক চ্যানেল ও অনুপ্রবেশ রুট সম্পূর্ণ ধ্বংস করা। তাই উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত করিডরকে বিশেষ ভাবে নজরে রাখা হয়েছে। মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো হিলে মহেশখোলা-রঙরা এলাকায় অভিযান চালায় এনআইএ। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানান, দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে সম্ভাব্য যোগসূত্র খুঁজতেই ওই অভিযান চলছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদীরা অসমে আশ্রয় নিতে পারে, নাশকতাও ঘটাতে পারে। তাই এখন বেশ কিছু দিন অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।’’

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম, শিলিগুড়ির মাটিগাড়া, কোচবিহারের দিনহাটার মতো এলাকায় চলেছে অভিযান। বুধবার দিনহাটার নন্দিনা গ্রামে আরিফ হোসেন নামে এক বাংলাদেশির খোঁজে যায় এনআইএ। আরিফ পালালেও তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। বৃহস্পতিবারেও এলাকায় ঠিকাদারি এবং কাপড়ের ব্যবসায় যুক্ত আরিফের খোঁজ করেছে রাজ্য পুলিশ। বুধবার নবগ্রাম থানার নিমগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মইনুল হাসানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনআইএ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

NIA Al Qaeda

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy