গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জেল থেকে জামিন পেতেই গাড়ি-বাইক নিয়ে, তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে রাস্তায় শোভাযাত্রা বার করলেন ‘গণধর্ষকেরা’। ১৬ মাস জেল খাটার পর বৃহস্পতিবার জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তাঁরা। জামিনের খবর চাউর হতেই তাঁদের সঙ্গী-সাথীরা জেলের সামনে গাড়ি, বাইকের কনভয় নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। জেলের বাইরে পা রাখতেই প্রথমে সাত অভিযুক্তকে স্বাগত জানানো হয়। তার পর গাড়ি, বাইক আর গানের সঙ্গে শোভাযাত্রা করে ধর্ষণের অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি কর্নাটকের হাভেরির।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হাভেরির একটি হোটেলে ঢুকে এক যুগলের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ওই সাত জনের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, হোটেল থেকে তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরই সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই সাত যুবককে। হাভেরির নিম্ন আদালতে মামলাটি চলছে। বৃহস্পতিবার তাঁদের জামিন হয়। আর তার পরই তাঁদের মহাসমারোহে জেল থেকে নিয়ে যান সঙ্গীরা। এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গণধর্ষণ এবং হামলার অভিযোগে মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ছিলেন সাত জন। ১০ মাস আগে ১২ জনের জামিন হয়। বাকি সাত মূল অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার জামিন দেয় আদালত।
ধর্ষণে অভিযুক্তদের স্বাগত জানানোর বিষয়টি এই প্রথম নয়। গুজরাতে বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তেরা জামিন পাওয়ার পরে তাঁদেরও মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছিল। পঞ্জাবে লোক ইনসাফ পার্টির প্রধান সিমরজিৎ সিংহ বাইনসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২১ সালে মামলা রুজু হয়। ২০২২ সালে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ছ’মাসের বেশি জেল খাটার পর ২০২৩ সালে জামিন পান। বারনালা জেল থেকে ছাড়া পেতেই তাঁকে ‘নায়কের’ মতো স্বাগত জানানো হয়। সেই তালিকায় জুড়ে গেল কর্নাটকের নাম।