বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। অনেকের সঙ্গেই ছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। সে সময় বাড়িটির উপর ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ‘অভিশপ্ত’ বিমান। বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় বিমানের আরোহীদের সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন হস্টেলের কয়েক জন। শুক্রবার ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এফএআইএমএ) জানিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ে হস্টেলের ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চার জন ডাক্তারি পড়ুয়া, ছ’জন পড়ুয়াদের আত্মীয়।
অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় মেঘানিনগরের লোকালয়ে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে গেঁথে গিয়েছিল সেটি। সেখানে তখন মধ্যাহ্নভোজ সারছিলেন চিকিৎসক-পড়ুয়ারা। দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে চার পড়ুয়ার, এমনটাই জানিয়েছে এফএআইএমএ। কয়েক জন পড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁদের আত্মীয়েরা। ছ’জন আত্মীয়েরও প্রাণ গিয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। তবে সেই সংখ্যা প্রকাশ করেনি এফএআইএমএ।
ঘটনার পরের কিছু ছবিতে হস্টেলের ক্যান্টিনের, যেখানে আবাসিকেরা খাবার খান, বিধ্বস্ত চিত্র দেখা যাচ্ছে। দেখা গিয়েছে, বহু বেঞ্চ ভেঙে পড়ে রয়েছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে থালায় সাজানো খাবার। মেস তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে দেওয়ালও।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনের গ্যাটউইকগামী বিমান। ওড়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় অহমদাবাদের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়েছিল সেটি। বিমানে সওয়ার ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এক জন যাত্রী বেঁচে গিয়েছেন। বিশ্বাসকুমার রমেশ নামে ওই যাত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। বিমানটি বসতি এলাকায় ভেঙে পড়েছে। সে কারণে ওই এলাকাতেও অনেকেই হতাহত হয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ২৪১ জন আরোহী-সহ ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মেঘানিনগরে চিকিৎসকদের হস্টেলে বিমানটি ভেঙে পড়েছে। সেই হস্টেলে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় ওই এলাকায় আহত প্রায় ৬০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার হাসপাতালে তাঁদের দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।