ক্যান্টিনের খাবার মুখে দেওয়ার যোগ্য নয়। ডাল থেকে দুর্গন্ধ বার হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলে মুম্বইয়ের আকাশবাণী বিধায়ক ভবনের ক্যান্টিনের কর্মীকে চড়, ঘুষি মেরে বিতর্কে জড়ালেন শিবসেনার (একনাথ শিন্দে শিবির) বিধায়ক সঞ্জয় গায়কোয়াড়। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নিজের কর্মকাণ্ড নিয়ে সাফাইও দেন বুলঢানার দু’বারের বিধায়ক।
জানা গিয়েছে, আকাশবাণী বিধায়ক বাসভবনে দিনকয়েক ধরে থাকছিলেন সঞ্জয়। সেই ভবনের নীচের তলায় রয়েছে ক্যান্টিন। সেই ক্যান্টিনের খাবার নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সঞ্জয় হাতে একটি ডালের প্যাকেট নিয়ে এক ক্যান্টিনকর্মীর কাছে পৌঁছে যান। তাঁকে গন্ধ শুঁকতে বলেন। তার পরেই ওই ক্যান্টিনকর্মীকে মারধর শুরু করেন সঞ্জয়। প্রথমে সপাটে চড় কষান, তার পর নাকে ঘুষি মারেন। ঘটনার পর বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার স্টাইলে শিক্ষা দিয়েছি।’’
আরও পড়ুন:
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই নিজের কাজের সাফাই দেন সঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘‘আমি আগেও দু’-তিন বার নিম্নমানের খাবারের বিষয়ে অভিযোগ করেছিলাম। এ বার যে খাবার দেওয়া হয়েছিল তা খাওয়ার যোগ্য ছিল না। আমি বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করব।’’ তাঁর দাবি, তিনি গত ছ’বছর ধরে এমএলএ হস্টেলে থাকছেন। এর আগেও সেখানকার ক্যান্টিনের খাবারে টিকটিকি, ইঁদুর পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সঞ্জয়ের কথায়, ‘‘এই ক্যান্টিনে ৫-১০ হাজার লোক খান। সকলেরই প্রায় একই অভিযোগ। কোনও কোনও খাবারের পদ তো আবার ১৫ দিনের বাসি হয়।’’
কী ঘটেছিল, তার বর্ণনাও দেন শিন্দেসেনার বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘খাওয়ার আগেই বুঝতে পেরেছিলাম বাসি খাবার দেওয়া হয়েছে। দুর্গন্ধ বার হচ্ছিল। আমি তখন সবাইকে বলি শুঁকে দেখতে। সকলেই একই কথা বলেন। আমি ক্যান্টিনকর্মীদের বুঝিয়েছিলাম, ভাল খাবার দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁরা শোনেননি।’’
বিতর্ক যেন সঞ্জয়ের পিছু ছাড়ে না। অতীতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর জিভ কেটে নিলে ১১ লক্ষ টাকা দেবেন বলে ঘোষণা করে বিতর্কে জড়ান সঞ্জয়। শুধু তা-ই নয়, উদ্ধব ঠাকরে, দেবেন্দ্র ফডণবীসের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। এ বার ক্যান্টিনকর্মীকে মারধরের ঘটনায় জড়ালেন শিন্দেসেনার বিধায়ক।