শিনা বরা (বাঁ দিকে)। তাঁকে খুনে অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
আবার ধাক্কা খেল শিনা বরা হত্যা মামলা। সরকারি কৌঁসুলি আদালতে জানিয়েছেন, তদন্তকারীরা যে সব হাড়গোড়ের অংশ উদ্ধার করেছিলেন, সেগুলির খোঁজ মিলছে না। সিবিআই দাবি করেছিল, ওই হাড়গোড় শিনার।
২০১২ সালে ওই হাড়গোড় উদ্ধার করেছিল মহারাষ্ট্রের পেন থানার পুলিশ। অভিযোগ, ওই বছরই খুন হয়েছিলেন শিনা। সরকারি আইনজীবী সিজে নন্দোড় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে জানিয়েছেন, অনেক খুঁজেও সেই সব হাড়গোড় মেলেনি। ওগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষার প্রয়োজন।
২০১২ সালে ওই হাড়গোড়গুলি পরীক্ষা করেছিলেন জেজে হাসপাতালের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জেবা খান। তিনি জানিয়েছিলেন, সেগুলি মানুষের। এ বার জেবা খানের বয়ান রেকর্ডের সময় জানা গিয়েছে যে, সেই হাড়গোড়ের আর হদিস নেই। এর আগে সেই হাড়গোড়ের খোঁজ করার জন্য আদালতে অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী। বিরোধী আইনজীবী তাতে বাধা দেননি। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই হাড়গোড়ের সন্ধান মেলেনি। তাই আপাতত ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ জেবার বয়ানই প্রমাণ হিসাবে আদালতে পেশ করতে চলেছেন সরকারি কৌঁসুলি। এতে সওয়াল অনেকটাই দুর্বল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিবিআইয়ের দাবি, ২০১২ সালে শিনাকে গলা টিপে হত্যা করেছেন তাঁর মা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, তাঁর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্না এবং চালক শ্যামবর রাই। এর পর পেন গ্রামে নিয়ে গিয়ে সেই দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ২০১২ সালে পেন থানার পুলিশ সেই হাড়গোড় উদ্ধার করে জেজে হাসপাতালে পাঠায়। ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়। যদিও সেগুলি কার, তার খোঁজ মেলেনি দীর্ঘ দিন। ২০১৫ সালে ইন্দ্রাণীর চালক শ্যামবরকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করেই প্রকাশ্যে আসে শিনার হত্যার বিষয়টি। এর পর খারা খানার পুলিশ ওই জায়গায় গিয়ে হাড়গোড়ের বাকি অংশ উদ্ধার করে দিল্লির এমসে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১২ এবং ২০১৫ সালে যে হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে, তা শিনার। যদিও ইন্দ্রাণীর আইনজীবী তা মানেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy