‘সঙ্গম’ বিতর্কে বিভিন্ন রাজ্যে রণবীর ইলাহাবাদিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই এফআইআরগুলি একত্রিত করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইউটিউবার রণবীর। শুক্রবার তাঁর হয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন জমা করেন বম্বে হাই কোর্টে এক আইনজীবী। গত আট বছর ছয় মাসে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করতে দেখা যায়নি। তবু তাঁর দিকেই ছিল উপস্থিত সকলের নজর। তিনি অভিনব চন্দ্রচূড়, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পুত্র।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন চন্দ্রচূড়। ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি। তার আগে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন চন্দ্রচূড়। তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে যখন ছিলেন, তখন এক দিনের জন্যও সেখানে সওয়াল করতে দেখা যায়নি অভিনবকে। নিজের বিদায়ী ভাষণে এই নিয়ে আক্ষেপ করতে শোনা গিয়েছিল প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে। তিনি জানিয়েছিলেন, দুই ছেলে অভিনব এবং চিন্তনকে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করার কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করলে তাঁদের ঘন ঘন দেখতে পারবেন।
কিন্তু দুই ছেলেই তা নাকচ করে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ‘পেশার ক্ষেত্রে সততা রক্ষা’র স্বার্থেই তা করা সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গে নিজের কর্মজীবনের কথাও তুলে ধরেছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। জানিয়েছিলেন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে দেশের কোনও আদালতে সওয়াল করেননি তিনি। কারণ, সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে ছিলেন তাঁর বাবা ওয়াইভি চন্দ্রচূড়।
অভিনব ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের সরকারি আইন কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। স্ট্যানফোর্ড ল কলেজ থেকে হন স্নাতকোত্তর। সফল আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি। এ বার সুপ্রিম কোর্টে রণবীরের হয়ে সওয়াল করতে চলেছেন।
ইউটিউবের অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য রণবীরকে বৃহস্পতিবার তলব করেছিল মুম্বই পুলিশ। তিনি হাজিরা দেননি। এর পরে শুক্রবার সমন পাঠানো হয় তাঁকে। শনিবার আবার হাজিরা দিতে বলা হয়। শুক্রবার রণবীরের ভারসোভার বাড়িতে গিয়েছিল মুম্বই এবং অসম পুলিশের দল। সেখানে তালা ঝুলতে দেখেন তাঁরা। এর মধ্যে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন রণবীর। আগাম জামিনের আর্জিও জানান। সেই পিটিশন দ্রুত শোনার আর্জি জানিয়েছিলেন রণবীরের আইনজীবী অভিনব। যদিও সেই আর্জি খারিজ হয়েছে।