সনিয়া গান্ধী। ফাইল চিত্র।
মা হিসেবে গর্বিত সনিয়া গান্ধী। গত কাল সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা শুরু হওয়ার আগে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী নিজেই এই কথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজ সুদীপ বলেন, ‘‘সেন্ট্রাল হলে ঢোকার পরেই দেখা হয় সনিয়াজির সঙ্গে। উঠে দাঁড়িয়ে নমস্কার করে তিনি বলেন, ‘এখন আমি ছেলের জন্য গর্বিত।’ আমিও তাঁকে বলি, ‘অবশ্যই, আপনার গর্বিত হওয়াই উচিত। অন্তত একটা সফল কর্মসূচি হয়েছে আপনাদের দলের’।”
প্রসঙ্গত, সুদীপের সঙ্গে সনিয়ার ব্যক্তিগত সখ্য দীর্ঘদিনের। আবার রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা শুরু হওয়ার আগে প্রায় ফাঁকা সেন্ট্রাল হলে মিনিট পঁচিশেক পাশাপাশি বসে কথা বলতে দেখা গিয়েছে সনিয়া এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা অবশ্য বলতে চাননি ডেরেক। শুধু জানিয়েছেন, ওই আলাপ ‘ব্যক্তিগত’।
অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূলের দুই বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ ও সৌগত রায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরস বাক্য-বিনিময় লেগেই থাকে। গত কাল বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেও তার অন্যথা ঘটেনি। তার সঙ্গে মোদী জুড়ে নিয়েছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরীকেও।
কাল লোকসভা সারা দিনের মতো মুলতুবি হয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী রেওয়াজমাফিক বিরোধীদের বেঞ্চের সামনে যান। সনিয়ার সঙ্গে নমস্কার বিনিময় হয় তাঁর। পিছনেই ছিলেন সৌগত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দাদা, আপনি পিছনে কেন!’’ সৌগত সামনে এসে মোদীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এর পরে মোদী উবাচ, ‘‘দাদা, আপনি লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি তো!’’ জবাবে সৌগত বলেন, ‘না না, এখনও তো লড়াই ছাড়িনি।’’ পাশেই ছিলেন অধীর। বরফে ঢাকা কাশ্মীরে ছিল তাঁদের সাম্প্রতিক কর্মসূচি। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত কাল অধীরের দিল্লি আসতে দেরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন!’’ জবাবে হেসেছেন অধীর। অন্য দিকে সুদীপ সেন্ট্রাল হলে মোদীকে বলেন, ‘‘আপনি কাঁধের উপরে যে কায়দায় শালটাকে ফেলেছেন, তা খুবই সুন্দর!’’ জবাবে প্রধানমন্ত্রী সুদীপকে বলেন, ‘‘তাই? অনেক ধন্যবাদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy