Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Atiq Ahmed Murder

মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মারা! আতিকের মতোই মৃ্ত্যু হতে পারে, আশঙ্কা করছেন এসপি নেতা আজম খান

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রামপুরের জেলাশাসক অনুজেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতার অভিযোগেই সাজা হয় আজ়মের।

SP leader of Uttar Pradesh Azam Khan fears Atiq Ahmed like shootout

আতিকের মতোই মৃ্ত্যু হতে পারে, আশঙ্কা করছেন এসপি নেতা আজম খান। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ২০:২৮
Share: Save:

গ্যাংস্টার-রাজনীতিক আতিক আহমেদের মতোই মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সমাজবাদী পার্টি (এসপি) নেতা আজ়ম খান। এক সময় রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এবং রামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আজ়ম সম্প্রতি দলের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, “কী চান, আমাকেও কেউ এসে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেরে ফেলুক?”

রামপুর পৌর নির্বাচনে এসপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন আজ়ম। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন রাজনীতির মঞ্চে দেখা যায়নি তাঁকে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রামপুরে বিজেপির চিত্রতারকা প্রার্থী জয়াপ্রদাকে ১ লক্ষ ৯ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন আজ়ম। আজম পেয়েছিলেন প্রায় ৫৩ শতাংশ ভোট। জয়াপ্রদা ৪২ শতাংশ। এর পর চলতি বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে রামপুরে প্রার্থী হন আজ়ম। প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর ভোটের পার্থক্য ছিল ৫৫ হাজারেরও বেশি।

বিধানসভা ভোটে জেতার পর সাংসদ পদ ছাড়েন তিনি। কিন্তু ২০২১ সালের জুন মাসের উপনির্বাচনে রামপুর লোকসভা কেন্দ্রে সমাজবাদী প্রার্থী মহম্মদ আসিম রাজাকে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে হারান বিজেপির ঘনশ্যাম সিংহ লোধি। তবে উপনির্বাচনেও আজমের বিধানসভা কেন্দ্র রামপুরে এগিয়ে ছিলেন সমাজবাদী প্রার্থী। ২০২২ সালে রামপুর কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনে এসপি প্রার্থী মহম্মদ আসিম রাজাকে পরাজিত করে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী আকাশ সাক্সেনা।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রামপুরের জেলাশাসক অনুজেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতার অভিযোগেই সাজা হয় আজ়মের। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (গোষ্ঠীগত শত্রুতা বাড়ানো), ৫০৫-১ (প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে অস্থিরতা সৃষ্টি)-সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁকে। এই রায়ের জেরে বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায় তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE