‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে গ্রেফতার হয়েছেন হরিয়ানার অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদ। গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর মামলাটি শুনতে সম্মত হয়েছে শীর্ষ আদালত। ধৃত অধ্যাপকের আইনজীবী কপিল সিব্বল দেশের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের কাছে মামলাটি আগামী বুধবার শোনার আর্জি জানান। প্রধান বিচারপতি দ্রুত শুনানির আশ্বাস দিলেও কবে মামলাটি শোনা হবে, তা সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের বেছে বেছে খুন করার পরে পাক জঙ্গিদের আঁতুড়ঘরে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। সেনার ওই অভিযান নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিস্তারিত জানান কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিংহ। এ ভাবে সোফিয়াকে সামনে নিয়ে আসা নিয়ে সমাজমাধ্যমে মন্তব্য করতে গিয়ে মাহমুদাবাদ বিষয়টিকে ‘লোক দেখানো’ ও ‘দ্বিচারিতা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডলে ওই অধ্যাপক লেখেন, “অনেক দক্ষিণপন্থী লোক কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসা করছেন। এটা ভাল। তবে তাঁরা যদি একই রকম জোরালো ভাবে গণপিটুনি, বুলডোজ়ার অভিযান ও ঘৃণার রাজনীতির শিকার মুসলিম নাগরিকদেরও রক্ষা করার দাবি তোলেন, তা হলে সেটাই হবে প্রকৃত দেশপ্রেম।”
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমে সেই মন্তব্য করার জন্য গ্রেফতার করা হয় অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মাহমুদাবাদকে। বিজেপির এক নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তার আগে তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছিল হরিয়ানার রাজ্য মহিলা কমিশন। দিল্লি পুলিশের এসিপি রাজ অজিত সিংহ অধ্যাপকের গ্রেফতারির খবর জানিয়ে বলেন, “আলি খান মাহমুদাবাদকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সমাজমাধ্যমে তাঁর করা কিছু মন্তব্যের জেরেই এই গ্রেফতারি।”
অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদকে রবিবার সকালে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। আমরা পুরো মামলার বিশদ বিবরণ যাচাই করছি। এ নিয়ে তদন্তে পুলিশ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বিশ্ববিদ্যালয়।”