অনন্ত অম্বানীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ‘বনতারা’য় নিয়ম মেনেই কাজ চলছে। এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত চার সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। গত শুক্রবারই শীর্ষ আদালতে একটি মুখবন্ধ রিপোর্ট জমা দেয় সিট। সোমবার ওই রিপোর্টের সারাংশের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিথল এবং বিচারপতি পিবি বড়ালের বেঞ্চ জানায়, তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ ‘বনতারা’র সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট। নিয়ম মেনেই সেখানে যাবতীয় কাজ চলছে বলে রিপোর্টে জানিয়েছে তদন্তকারী দল।
গুজরাতের জামনগরে অম্বানীদের মালিকানাধীন ‘বনতারা’ অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে। মামলাকারীদের অভিযোগ, সেখানে থাকা পশুপাখিদের যথাযথ ভাবে পরিচর্যা করা হচ্ছে না। পশুপাখি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। তা ছাড়া ভারতের কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের নিয়ম এবং বিরল প্রাণীদের সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে যে মান্য বিধি রয়েছে, তা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে দাবি মামলাকারীদের।
‘বনতারা’র বিরুদ্ধে ওঠা ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত মাসে একটি সিট গঠন করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। চার সদস্যের ওই সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জাস্তি চেলমেশ্বর। উত্তরাখণ্ড এবং তেলঙ্গানা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাঘবেন্দ্র চৌহানও রয়েছেন সিটে। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত এই সিটে রয়েছেন এক আইপিএস এবং এক আইআরএস আধিকারিকও। অম্বানীদের ওই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্রে কী ভাবে কাজ হচ্ছে, সেখানে ভারত সরকারের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখে সিট-কে রিপোর্ট দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই মতো গত শুক্রবারই সিটের রিপোর্ট জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন:
সোমবার মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “আমরা রিপোর্টের সারাংশ পর্যালোচনা করেছি। এতে বলা সব পক্ষের মতামত উল্লেখ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিধি মানার ক্ষেত্রে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।” তবে বিচারপতিরা জানান, পুরো রিপোর্টটি তখনও তাঁদের পড়া হয়নি। পুরো রিপোর্টটি পড়ে দেখার পরে এ বিষয়ে তাঁরা এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দেবেন।