আগামী সোমবার ‘নগদকাণ্ডে’ নাম জড়ানো বিচারপতি যশবন্ত বর্মার আবেদন শুনবে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত গঠিত অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন তিনি। আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্র বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে।
এই মামলার শুনানি থেকে আগেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই। গত বুধবার তিনি জানান, ‘নগদকাণ্ড’ এবং বিচারপতি বর্মার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর আলোচনা হয়েছে। এই অবস্থায় তাঁর এই মামলার শুনানি করা উচিত হবে না বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি গবই। বিচারপতি বর্মার মামলা শোনার জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হবে বলেও ওই সময় জানান তিনি। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, সোমবার বিচারপতি দত্ত এবং বিচারপতি মাসিহ্ ওই মামলাটি শুনবেন।
চলতি বছরে দোলের দিন দিল্লি হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি বর্মার বাসভবনের গুদামে আগুন লেগে যায়। দমকলকর্মীরা আগুন নেবাতে যাওয়ার পরে প্রথম নোটের কথা জানা যায়। দাবি করা হয়, সেখানে আধপোড়া নোটের বান্ডিল দেখা গিয়েছে। সেই থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। বিতর্কের আবহেই দিল্লি হাই কোর্ট থেকে ওই বিচারপতিকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে বদলি করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালত ওই ঘটনার অনুসন্ধানের জন্য হাই কোর্টের তিন বিচারপতিকে নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে। গত ৩ মে ওই অনুসন্ধান কমিটি একটি মুখবন্ধ রিপোর্ট জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন:
ওই সময় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন খন্না। অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তিনিই অবসরগ্রহণের কয়েক দিন আগে বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট (অপসারণ)-এর সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন। ওই অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে কী উল্লেখ রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আসেনি। তবে এরই মধ্যে ওই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিচারপতি বর্মা। ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।