উত্তরপ্রদেশের স্কুলে শিশুনিগ্রহের ঘটনাকে ‘গুরুতর এবং ভয়ঙ্কর’ বলল সুপ্রিম কোর্ট। গত অগস্ট মাসে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরপুর এলাকার খুববাপুরের একটি স্কুলের ঘটনা নিয়ে জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় হয়। একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, আট বছরের খুদে পড়ুয়াকে মারার নিদান দিচ্ছেন শিক্ষিকা। শ্রেণিকক্ষে বসে থাকা সহপাঠীরা শিক্ষিকার নির্দেশ মোতাবেক হাসিমুখে বন্ধুকে চড় মেরে যাচ্ছে। মারের চোটে কেঁদে উঠছে শিশুটি। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। বিষয়টি স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগী। বিষয়টির অন্য ব্যাখ্যাও দেন।
পরে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং পঙ্কজ মিত্তলের যৌথ বেঞ্চের মৌখিক পর্যবেক্ষণ, “এটাই কি একটা শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনার ধরন? যদি এই ঘটনা ঘটে থাকে তবে রাজ্যের বিবেক জাগ্রত হওয়া উচিত।” উত্তরপ্রদেশ সরকারকে পুরো ঘটনার দায় নিতে বলে আদালত।
এর পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া এক জন আইপিএস আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে চলবে। আগামী ৩০ অক্টোবর আবার এই মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। ওই দিন পড়ুয়াদের কাউন্সেলিং সংক্রান্ত বিষয়ে এবং নির্যাতিত পড়ুয়ার পড়াশোনার খরচ বহন করার বিষয়ে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া কতটা এগোল, তা উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন:
ওই ঘটনার পরে অভিযুক্ত শিক্ষিকার সাফাই ছিল যে, ছাত্রটি হোমওয়ার্ক করে আসেনি। তাই তাকে ‘শিক্ষা দিতে’ অন্য পড়ুয়াদের মারতে বলেন তিনি। যদিও তাতে বিতর্ক থামেনি। কোনও কোনও মহল থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, ছাত্রটি নির্দিষ্ট একটি ধর্মের বলেই তার উপরে এই ‘পীড়ন’ চালানো হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলাও শুরু হয়। বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলের ওই ভিডিয়ো ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং সিপিএম নেতৃত্ব।