ফাইল চিত্র।
হাথরসে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের হাতে গ্রেফতার কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে চিকিৎসার জন্য দিল্লির এমস বা অন্য কোনও হাসপাতালে ভর্তি করানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে কাপ্পানকে সশরীরে হাজির করার আবেদন জানিয়ে কেরলের সাংবাদিক সংগঠনের মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
এ মাসের ২৪ তারিখে কাপ্পানের স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে জানান, সম্ভবত কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন তাঁর স্বামী। শারীরিক দুর্বলতার কারণে শৌচাগারে গিয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে যাওয়ার পরে কাপ্পানকে তাঁর শয্যার সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন মথুরা জেল কর্তৃপক্ষ। জেলে কাপ্পানের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলে সরব হয় এডিটর্স গিল্ডও। এই পরিস্থিতিতে কাপ্পানের মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়ে পাঠান প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানান, সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে— পরীক্ষায় কাপ্পানের কোভিড নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। কিন্তু তিনি ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। তাঁর শরীরে একটি আঘাতও হয়েছে, যার চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ওই রিপোর্ট দেখেই বিচারপতিরা উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে আদালতে সওয়াল করা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলেন, কাপ্পানকে যদি দিল্লিতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়, তাঁর কী মত? উত্তরপ্রদেশ সরকারের অফিসারদের সঙ্গে পরামর্শ সেরে সলিসিটর জেনারেল ওই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি দাবি করেন, কাপ্পানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা রয়েছে। মেহতার অভিযোগ, সাংবাদিক বলে কাপ্পান বাড়তি সুযোগ পেতে পারেন না। উত্তরপ্রদেশ সরকার বলছে, তাঁর চেয়ে অসুস্থ, শরীরের নানা অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া বিচারাধীন বন্দিও মথুরা জেলে দিব্যি রয়েছেন। সলিসিটর জেনারেল এই যুক্তিও দেন, দিল্লিতে কোভিড সংক্রমণ ভয়ঙ্কর মাত্রা নেওয়ায় সেখানে হাসপাতালের বেড পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে মেহতার আপত্তির পরেও প্রধান বিচারপতি কাপ্পানকে দিল্লির এমস বা অন্য ভাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy