মানহানির ঘটনাকে অপরাধের তকমামুক্ত করার পক্ষে কথা বলল এ বার সুপ্রিম কোর্টই।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিক একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। নিম্ন আদালত, দিল্লি হাই কোর্ট ঘুরে সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে। তার শুনানিতেই এ কথা বলেছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ। বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘মনে হয়, এ সমস্ত কিছুকে অপরাধের তকমামুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে। আর কত দিন এটাকে এ ভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে?’’ অনলাইন সংবাদমাধ্যমের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনিও শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।
অনলাইন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে জেএনইউ-এর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অমৃতা সিংহের অভিযোগ, ২০১৬ সালে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যে, তাতে তাঁর মানহানি হয়েছে। অভিযোগ, প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, অমৃতার নেতৃত্বে জেএনইউ-র এক দল শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০০ পাতার একটি নথি প্রস্তুত করেছেন। সেই নথিতে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। পরে নথিটি জেনএনইউ কর্তৃপক্ষকেও পাঠানো হয়েছিল।
প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই অনলাইন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন অমৃতা। সেই মামলায় ২০১৭ সালে নিম্ন আদালত অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে তলব করে। এর বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে যায় অনলাইন সংবাদমাধ্যম। কিন্তু সেখানে তাদের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এ বার তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় মানহানির মামলাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসাবেই দেখা হয়। এর সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে অতীতে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী এবং অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মতো বিরোধী দলের নেতারা।