Advertisement
E-Paper

ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে নির্যাতিতা রাজি না-হলে নেতিবাচক ভাবনা জন্মায় তাঁর বিরুদ্ধেই: সুপ্রিম কোর্ট

হিমাচল প্রদেশের এক ধর্ষণের মামলায় নির্যাতিতা ডাক্তারি পরীক্ষায় আপত্তি জানিয়েছিলেন। নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের বয়ানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাই কোর্ট। পরে মামলাটি আসে সুপ্রিম কোর্টে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৫ ১৮:১৬
হিমাচল প্রদেশের ধর্ষণের মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে।

হিমাচল প্রদেশের ধর্ষণের মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ধর্ষণের মামলায় নির্যাতিতা ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে রাজি না-হলে ওই মহিলার বিরুদ্ধেই নেতিবাচক ভাবনা তৈরি হয়। একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

হিমাচল প্রদেশের একটি ধর্ষণের মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সে রাজ্যের সরকার। হাই কোর্ট ওই মামলায় বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল অভিযুক্তকে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ অনুসারে, শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ ২০১৮ সালে ওড়িশার একটি ঘটনায় শীর্ষ আদালতের রায়ের কথা তুলে ধরে। শীর্ষ আদালত জানায়, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তোলার পরে কোনও মহিলা ডাক্তারি পরীক্ষায় অনুমতি না-দিলে তাঁর বিরুদ্ধেই নেতিবাচক ভাবনা জন্মায়।

হিমাচল প্রদেশের ওই ঘটনাটি ২০০৭ সালের। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর রুজু করেছিল পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, নির্যাতিতার বাবা-মা বাড়িতে না-থাকার সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। ওই সময়ে অভিযুক্ত ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে দাবি পরিবারের। ঘটনার পরে স্থানীয় এক হাসপাতালে অভিযুক্তের ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু নির্যাতিতা ডাক্তারি পরীক্ষায় আপত্তি জানান বলে অভিযোগ। পরে নির্যাতিতাকে অন্য এক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা ওই নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষার অনুমতি পায়নি দ্বিতীয় হাসপাতালও।

প্রথমে হিমাচল প্রদেশের নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করলেও হাই কোর্ট তাঁকে বেকসুর খালাস করে দেয়। মামলার শুনানিতে নির্যাতিতার মা সরকার পক্ষের আইনজীবীকে সাহায্য করেননি। নির্যাতিতার বাবাও গা-ছাড়া কিছু বক্তব্য পেশ করেন। এই অবস্থায় হাই কোর্ট জানায়, নির্যাতিতা বা তাঁর বাবা-মা, কেউই মামলায় চিকিৎসাকর্মীদের সঙ্গে পুরোপুরি সহযোগিতা করেননি। সে ক্ষেত্রে তাঁদের অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছিল বলে মনে করে হাই কোর্ট।

Supreme Court himachal pradesh Himachal Pradesh High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy